এর আগে একদিনে ১৪৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৫ হাজারের নিচে সূচক নামে গত ২৭ অক্টোবর।
Published : 24 Apr 2025, 05:09 PM
প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর ৫ হাজারের নিচে নামল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার— ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক।
আগের দিনের চেয়ে ৪৯ পয়েন্ট হারিয়ে বৃহস্পতিবার দেশের অন্যতম পুঁজিবাজারের সূচক ঠেকেছে ৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে।
এর আগে একদিনে ১৪৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৫ হাজারের নিচে সূচক নামে গত ২৭ অক্টোবর। সেদিন সূচক দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯৬৫ পয়েন্ট।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। বিনিয়োগকারীরাও হারানো পুঁজি একটু একটু করে ফিরে পাচ্ছিলেন।
সেই প্রবণতা অবশ্য সপ্তাহ দুয়েকের বেশি স্থায়ী হয়নি। সূচকের ওঠানামা ও দরপতনে বিনিয়োগকারীরা ফের পুঁজি হারাতে থাকেন। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অস্থিরতাও পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
ঈদুল ফিতরের আগের মাস মার্চে মিশ্র ধারায় লেনদেন চলে পুঁজিবাজারে। বিনিয়োগকারীদের আশা ছিল, ঈদের পর থেকে বাজার হয় ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করবে। কিন্তু সে লক্ষণ এখন পর্যন্ত নেই।
ডিএসইর তথ্য বলছে, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে পুঁজিবাজারে সূচকের পতন শুরু হয়, যা দিন দিন বাড়ছে। পতনের তালিকায় নাম আসছে মৌলভিত্তির কোম্পানিরও।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সম্মেলন চলাকালে তিন দিন মূল্যসূচকের সঙ্গে বেড়েছিল লেনদেনের পরিমাণও। সম্মেলন শেষ হতেই সূচক ও লেনদেনে পতন শুরু হয়।
এরপর লেনদেন কমতে কমতে সবশেষ গত ১৫ এপ্রিল ৪৪৫ কোটি টাকায় নামে। গত চার কর্মদিবসে তা নেমে যায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকার ঘরে। পতন ঘটতে থাকে সূচকেও।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বেশির ভাগ কোম্পানিই দর হারিয়েছে।, লেনদেনে আসা ৩৯৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫২টির; কমেছে ৩০০টির। আগের দিনের দরে লেনদেন করে ৬৮টি।
বেশির ভাগ শেয়ারের দর হারানোর দিনে লেনদেন হয় ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের দিন শেয়ার হাতবদল হয় ৩০০ কোটি ৬১ লাখ টাকার।
ডিএসইর লেনদেনে সর্বোচ্চ অবদান রাখে খাদ্য ও আনুসঙ্গিক; বিদ্যুৎ ও জ্বালানী এবং ব্যাংক খাত।
দিন শেষে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় ডিএসইতে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে আসে এনার্জিপ্যাক, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স ও প্রভাতি ইন্সুরেন্স।
অন্যদিকে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শেয়ার দর হারানোর শীর্ষে ছিল খান ব্রদার্স, বিচ হ্যাচারি ও ফারইস্ট ফাইন্যান্স।