“সাবধান করে দিয়ে বলতে চাই, দেশ রক্তপাতের দিকে এগোচ্ছে”, বলেন অলি আহমদ।
Published : 19 Apr 2025, 09:44 PM
অলি আহমেদের হাতে ফুল দিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।
শনিবার তার সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কিছু সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিও আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন।
এদিন দুপুরে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ বলেন, “তাদের যোগদানে এলডিপি আরও শক্তিশালী হল। আমি তাদের অভিনন্দন জানাই।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিএনপি কার্যালয়ে মিঞা জাহিদুল ইসলাম আরেফী নামে এক মার্কিন নাগরিক সংবাদ সম্মেলন করেন।
ওই ঘটনার মামলায় সে বছরের ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয় চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও সারওয়ার্দী ওই ব্যক্তিকে বিএনপি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি সেনাবাহিনীতে থাকাকালে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কমান্ডেন্ট, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডক্ট্রাইন কমান্ডের (এআরটিডিওসি) জিওসি, নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা পরিদফতরের পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এলডিপিতে যোগ দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, “এ দলে যুক্ত হয়ে আমি সত্যিকারের সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করতে পারব। আমরা একটি শোষণহীন সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।”
অলি আহমদে অভিযোগ করে বলেন, “সংস্কারের নামে জনগণের সঙ্গে নাটক করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য না হলে সংস্কারের নাটক করেও লাভ হবে না।
“সরকারকে বলব, যথা সময়ে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করুন। নইলে তাদেরকেও আওয়ামী লীগের মত পালাতে হবে।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের দক্ষতা, আন্তরিকতা ও অভিজ্ঞতার প্রমাণ দিতে পারেনি। আপনারা প্রায় নয় মাস ক্ষমতায় আছেন। মনে হচ্ছে ক্ষমতা ভোগ করছেন। জনগণের সমস্যা নিরসনে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নেই।
“৫ অগাস্টের পর স্বৈরাচারের গুণ্ডাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণ যেসব মামলা করেছে, অভিযোগ দাখিল করেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত করে নাই।”
এলডিপি প্রধান বলেন, “আমাদের ভারতের দালালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া উচিৎ হবে না। আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেওয়াও ঠিক হবে না। আমি এখানে সাবধান ও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, দেশ রক্তপাতের দিকে এগোচ্ছে।
“হয়তো আপনাদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। পাপ কিন্তু বাপকেও ছাড়ে না। সুতরাং সময় থাকতেই সঠিক পদক্ষেপ নেন। জনগণকে শান্তিতে, স্বস্তিতে বসবাস করতে দিন। শুধু মিষ্টি কথায় ভাষণ দিয়ে দেশ চালানো যাবে না। এসব দিয়ে জনগণের সমস্যার সমাধান হবে না।”
এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।