এজেন্সিটির লাইসেন্স স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মঞ্জুরুল হক।
Published : 13 Apr 2025, 09:08 PM
গতবছর হজযাত্রার আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রীর পাওনা অর্থ ফেরত দিতে এক এজেন্সিকে সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
অন্যথায় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইনে নর্থ বেঙ্গল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামের ওই এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মিলার হোসেন। তার স্ত্রীর নাম আফরোজা নাজনীন। তারা রংপুর সদরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় গেল বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয় অভিযুক্ত এজেন্সিকে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে আফরোজা নাজনীনের অভিযোগের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি এবং তার স্বামী মিলার হোসেন হজে যাওয়ার জন্য নর্থ বেঙ্গল হজ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের ব্যাংক হিসাবে প্রাক নিবন্ধন এবং অন্যান্য খরচসহ মোট ১১ লাখ সাত হাজার টাকা জমা দেন।
“কিন্তু ২০২৪ সালে হজ পালনের উদ্দেশ্যে ঢাকা আশকোনা হাজী ক্যাম্পে অবস্থানকালীন সময়ে তার স্বামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে অভিযোগকারীও হজ পালন করতে পারেন নাই। এজেন্সির নিকট তাদের পাওনা ফেরত চাইলে পাওনা টাকা ফেরত প্রদান করছেন না,” বলা হয় চিঠিতে।
এতে আরও বলা হয়েছে, “পাওনা অর্থ আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত প্রদান করে তার প্রমাণক হজ অনুবিভাগে দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। অন্যথায়, এজেন্সির বিরুদ্ধে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ এবং ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২’ (সংশোধিত) অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।”
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালে এজেন্সির তালিকায় অভিযুক্ত এজেন্সির নাম পাওয়া না গেলেও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) ওয়েবসাইটে হজ এজেন্সির তালিকায় পাওয়া গেছে।
তাতে এজেন্সির মালিক হিসেবে হাবিবুল ইসলাম (অপু) নাম উল্লেখ করা রয়েছে, এজেন্সিটির ব্যবস্থাপনা অংশীদার। এজেন্সির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ধরলা আবাসিক এলাকা, কালিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম।
সেখানে এজেন্সিটির কারও ব্যক্তিগত নম্বর নেই। একটি টেলিফোন নম্বর উল্লেখ থাকলেও তাতে বহুবার কল করা হলেও সাড়া মেলেনি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মঞ্জুরুল হক রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হজ নিয়ে অনিয়মের জন্য ওদের লাইসেন্স স্থগিত করে রেখেছি আমরা। এরকম শুধু একটি এজেন্সি নয়, আরও এজেন্সি আছে। টাকা দেওয়ার জন্য সময় দিচ্ছি, বারবার ঘুরছে, আবার চিঠি দিচ্ছি। এরকম জটিল ঘটনা আছে।
“নর্থ বেঙ্গলকে যে চিঠি আমরা দিয়েছি, এর মধ্যে যদি টাকা না দেয় আমরা তাকে আরেকটা চিঠি দেব, যে এই আদেশ আপনি মানেননি। পরে, যদি তার লাইসেন্স বাতিল হয় কখনো, তখন জামানত থেকে অর্থ ফেরত দেওয়ার আইনি ভিত্তি থাকবে।”