“সমিতি কেন্দ্রীয়ভাবে বসে পরে সিদ্ধান্ত জানাবে,” বলছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতা বিপুল।
Published : 15 Oct 2023, 12:23 AM
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে থাকা শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
আগামী ১৭ ও ১৯ অক্টোবর তৃতীয় দফায় কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা রয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির।
এ নিয়ে শনিবার রাতে সরকারি বাসভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষামন্ত্রী।
পরে শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে দীপু মনি বলেন, “আমাকে তারা জানিয়েছেন, কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন। বাকিটা উনারা সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে যা জানাবার জানাবেন।”
কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির যুগ্ম মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমিতি কেন্দ্রীয়ভাবে বসে পরে সিদ্ধান্ত জানাবে।”
তবে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ, অর্জিত ছুটি প্রদান এবং আনুপাতিক হারে প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেডসহ প্রয়োজনীয় পদসৃজন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তর অধিদপ্তরের জন্য বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কম্পোজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুলস- ১৯৮০ পরিপন্থী সকল নিয়োগবিধি বাতিল, শিক্ষা ক্যাডার তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার, জেলা-উপজেলায় শিক্ষা ক্যাডার পরিচালিত শিক্ষা প্রশাসন সৃষ্টি ও চাকরীর ৫ বছর পূর্তিতে ষষ্ঠ গ্রেড প্রদানের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা।
তাদের দাবিকে যৌক্তিক বললেও এ সময়ে আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
২০-২৫ লাখ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, “অনার্স, মাস্টার্সে পরীক্ষা চলছিল। নতুন কারিকুলামের কাজ রয়েছে। ৩১ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষাবর্ষের কাজ শেষ করতে হবে। প্রশিক্ষণ চলছে। প্রচন্ড কাজের চাপের মধ্যে রয়েছি আমরা। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
“আমারও ক্ষোভ আছে তাদের প্রতি, কেন এ সময়ে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিল।”
অন্য ক্যাডারের সঙ্গে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বৈষম্য স্বীকার করে নিয়ে মন্ত্রী জানান, যে দাবিগুলো তার মন্ত্রণালয়ের আওতায় রয়েছে, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
“অন্য মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত আছে, বড় ইস্যু- যেগুলো নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, সেগুলো সরকার আবার ক্ষমতায় এলে আমরা কাজ করবো। অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যেসব সুবিধা পান, এখানেও সেগুলো পাওয়া উচিত।”
গত ২ অক্টোবর কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে কাজে অংশ না নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। পরে ১০ থেকে ১২ অক্টোবর সর্বাত্নক কর্মবিরতি পালন করেন তারা।