এর তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
Published : 27 Jan 2024, 04:25 PM
জমি বিক্রি করতে গিয়ে ‘প্রতারকদের’ খপ্পরে পড়ে ২০ লাখ টাকা খোওয়ানোর এক মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে শনিবার তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানান পিবিআই এর বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আব্দুল বারী ওরফে আফসার উদ্দিন খান ওরফে বজলুর রহমান (৬৬), মো. রাশেদ ওরফে রাসেল (৩৭) ও মো. নাঈম (৪৩)।
আগারগাঁওয়ে পিবিআই এর কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, জমি বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। সেই সূত্র ধরে ইঞ্জিনিয়ার শরীফ নামে আরেকজন সাইফুলকে জানান, আব্দুল বারী ওরফে আফসার নামে একজন ওই জমি কিনবেন।
সে কথা অনুযায়ী গত ১৭ জুলাই জমির কাগজপত্র নিয়ে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাড়ির চতুর্থ তলার অফিসে যান সাইফুল তার ভায়রা আব্দুল মান্নান। তারা জমির দর-দাম ঠিক করেন। কিন্তু সেই অফিসে অবস্থান করার সময়ই মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৫) নামে একজন অফিসে ঢুকে জমির ক্রেতা আফসারকে জানান, তার এক ভারতীয় বন্ধু দামি ঘড়ি এনেছে এবং সেগুলো বিক্রি করলে কোটি টাকা লাভ হবে।
পিবিআই জানায়, মোয়াজ্জেমর এ কথা শুনে আফসার ঘড়ি কিনতে রাজি হন এবং সঙ্গে সঙ্গে ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে দেন। মূলত মোয়াজ্জেম ও আফসার পরিচিত এবং সাইফুলকে ঘড়ির ব্যবসায় প্রলুব্ধ করতেই এ ঘটনা সাজান। আর ভারতীয় সেই নাগরিক সাজেন মাসুদ নামে আরেকজন।
পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আফসার বেশি লাভের আশা দেখিয়ে জমির মালিক সাইফুলকে ঘড়ি ব্যবসায় প্রস্তাব দেন। আর সাইফুল তাতে রাজি হয়ে ১৯ জুলাই তার ভায়রা মান্নানের সঙ্গে ফের উত্তরার সেই অফিসে গিয়ে আফসারের হাতে ২০ লাখ টাকা তুলে দেন।
পরে দুপুরে সবাই একসঙ্গে খেতে বসলে সাইফুল একে একে সবাইকে বের হয়ে যেতে দেখেন। আফসারও টাকা নিয়ে বের হয়ে যান। সাইফুল চক্রান্ত বুঝতে পেরে মোয়াজ্জেমকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। পরে বিমানবন্দর থানা পুলিশ গিয়ে মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে।
সাইফুল ও মান্নান ওই ঘটনায় ৩০ জুলাই বিমানবন্দর থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। পিবিআই এর তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)