বাকি দুই দিনের সম্মেলনে থাকছে সাতটি অধিবেশন।
Published : 08 Feb 2024, 10:06 PM
প্রতিষ্ঠার দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনের সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করেছে সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা 'কালি ও কলম'।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এ সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন এবং কালি ও কলমের বিংশতিতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এ বছরের জানুয়ারিতে ২০ বছরপূর্তি হয় কালি ও কলমের। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীল বিশেষ মুহূর্তকে আরও প্রাণবন্ত ও উজ্জীবিত করতে তিন দিনের এ আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আলোচনা সভা কালি ও কলমের ফেইসবুক পেইজে সরাসরি দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “পুঁজিবাদের আগ্রাসনে পৃথিবী আজ ঝুঁকির মুখে। সুস্থ চিন্তা ও মতাদর্শের কোনো বিকল্প নেই। আজকের পৃথিবীকে মুক্ত করতে হলে পুঁজিবাদ বিতারিত করতে হবে এবং মতাদর্শের ব্যাপারে কোনো আপোষ করা যাবে না। সবসময়ই মনন বিকাশে সাহিত্যচর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই চর্চা অব্যাহত থাকবে সেই প্রত্যাশাই করি।"
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসবিদ ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমেরিটাস চিন্ময় গুহ ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। সভাপতিত্ব করেন চিত্রশিল্পী ও প্রফেসর এমেরিটাস রফিকুন নবী।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন কালি ও কলম সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি অধ্যাপক এমেরিটাস সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, প্রকাশক আবুল খায়ের ও সম্পাদক সুব্রত বড়ুয়া।
চিন্ময় গুহ বলেন, "আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে কালি ও কলমের প্রয়োজন ছিল। আজকের এই অতি অত্যাধুনিক যুগে আমাদের সবকিছু দখল করে নিয়েছে যন্ত্র। এই যান্ত্রিক পৃথিবীতে এখনও নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে মনন পরিশীলতার জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে কালি ও কলম। তাদের এই সাহস, এই উদ্যেগকে আমি স্রদ্ধা করি।"
আরও দু'দিন অনুষ্ঠানে যা থাকবে
পরের শুক্র ও শনিবার সাহিত্য সম্মেলনের মোট সাতটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। নানা বিষয় নিয়ে আয়োজিত এসব অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন প্রবীণ-নবীন সাহিত্যিক, শিল্পী ও বিশিষ্টজনরা।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় 'কবিতা ও সাহিত্য-এসেছি কতদূর' শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তা থাকবেন চিন্ময় গুহ। মাহবুব সাদিক, আহমাদ মোস্তফা কামাল ও আবুল মোমেনও আলোচনা করবেন।
এদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় 'স্মৃতি-বিস্মৃতির মুক্তিযুদ্ধ' শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তা থাকবেন মুনতাসীর মামুন। সালেক খোকন, স্বকৃত নোমান ও মফিদুল হকও আলোচনা করবেন।
সন্ধ্যা ৭টায় হবে 'নাটক-চলচ্চিত্র – নতুন কতটুকু নতুন' শীর্ষক আলোচনা। এতে মূল বক্তা চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান। চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ পথিক, নাট্যকার ও কথাসাহিত্যিক রুমা মোদক ও রামেন্দু মজুমদার আলোচনা করবেন।
শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানের দিন বেলা ১১টায় 'নারী – সমাজ ও সময়ের দেয়াল কি ভাঙছে' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। মূল বক্তা থাকবেন মাহবুবা নাসরীন। মানস চৌধুরী, সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম ও নাসিমুন আরা হকও আলোচনা করবেন।
বিকাল ৪টায় 'লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি সমকালে শিকড়সন্ধান কতটা জরুরি' শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তা থাকবেন সাইমন জাকারিয়া। রঞ্জনা বিশ্বাস, সঞ্জীব দ্রং ও আবুল আহসান চৌধুরীও আলোচনা করবেন।
বিকাল সাড়ে ৫টায় থাকবে 'সৃজনকলার ভিতর-বাহির' শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তা থাকবেন মুস্তাফা জামান। স্থপতি ও শিক্ষাবিদ সাইফ উল হক, আলোকচিত্রী জান্নাতুল মাওয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমিরেটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আলোচনা করবেন।
এরপর সন্ধ্যা ৭টায় থাকবে 'তারুণ্য কি সত্যি জাগছে' শীর্ষক আলোচনা। এতে এভারেস্ট জয়ী প্রথম বাংলাদেশি নারী নিশাত মজুমদার, গায়ক শিবু কুমার শীল, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক হানযালা হান এবং কবি ও অধ্যাপক শামীম রেজা আলোচনা করবেন।