“এটা নিছক ব্যক্তির উপর হামলা নয়, এর সঙ্গে অধিকার ও নাগরিক মর্যাদার প্রশ্নটি জড়িত।”
Published : 27 Dec 2022, 09:16 PM
ঢাকার শাহবাগে প্রকাশ্যে প্রকৌশলী ম. ইনামুল হককে লাঞ্ছনার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িত ব্যক্তির শাস্তি দাবি করে বিবৃতি এসেছে নাগরিকদের কাছ থেকে।
মঙ্গলবার ৪৪ নাগরিকের পক্ষ থেকে একটি এবং ৩২ নাগরিকের পক্ষ থেকে আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
৪৪ নাগরিকের পক্ষ থেকে আসা বিবৃতিতে টকশো উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের বাড়িতে পুলিশের তথ্য সংগ্রহের নামে হয়রানির নিন্দাও জানানো হয়।
গত ২৪ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলার মধ্যে শাহবাগে লিফলেট বিলির সময় মেহেরপুরের কৃষক লীগ নেতা বানি আমিন চড় মারেন নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, হাওর ও জলাভূমি অধিদপ্তরসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক ইনামুল হককে।
ইনামুল ‘সর্বজন বিপ্লবী দল’ নামে একটি রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে সেদিন শাহবাগে তার দলের লিফলেট বিলি করছিলেন।
৪৪ নাগরিকের পক্ষে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, “পত্র-পত্রিকার সংবাদসূত্রে জানা যায়, হামলাকারীদের একজন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- এমন তথ্য আমরা পাইনি।
“সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তার বিধান থাকা সত্ত্বেও কেবল সরকারের সমালোচনার কারণে হয়রানি, মামলা-হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনা একটির পর একটি ঘটেই চলেছে।”
শাহবাগে প্রকৌশলী ইনামুলকে চড়, নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা
শাহবাগে চড়কাণ্ড: বানি আমিন ভেবেছিলেন ‘তুচ্ছ ঘটনা’, এখন দুঃখিত
বিবৃতিতে জিল্লুর রহমানের বাড়িতে পুলিশের যাওয়ার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়।
এই বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট শাহদীন মালিক, অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ,আলোকচিত্রী শহীদুল আলম, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ট্রমুখ।
৩২ নাগরিকের পাঠানো অন্য বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রকৌশলী ইনামুল হক গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলায় শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ হামলায় একটি স্বাধীন-স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা গভীর বেদনাদাহত, বিক্ষুব্ধ ও স্তম্ভিত।
“এটা নিছক ব্যক্তির উপর হামলা নয়, এর সঙ্গে অধিকার ও নাগরিক মর্যাদার প্রশ্নটি জড়িত। আমরা ৩২ জন নাগরিক এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
এই বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যাপক মাহবুব উল্যাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, কবি আবদুল হাই শিকদার, অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন খান প্রমুখ।