সব বস্তি ও মার্কেটে বসবে ফায়ার হাইড্রেন্ট: মেয়র আতিক

সাততলা বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থায় ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে। ২০ হাজার লিটার পানি বস্তিবাসীরা ব্যবহার করতে পারবেন। অবশিষ্ট ৪০ হাজার লিটার পানি আগুন লাগলে অন্তত ৪০ মিনিট ব্যবহার করা যাবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2023, 08:23 AM
Updated : 18 May 2023, 08:23 AM

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার সব বস্তি এবং বিভিন্ন বিপণী বিতানে আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার মহাখালীর সাততলা বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় ফায়ার হাইড্রেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ২০২১ সালের জুনে এই বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের পর পরিদর্শনে এসে তিনি দেখেছিলেন এখানে আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।

সেজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং অগ্নিনির্বাপন কাজে বস্তিবাসীদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ফায়ার হাইড্রেন্ট কী

সহজ করে বলতে গেলে ফায়ার হাইড্রেন্ট হল বিশেষায়িত পানির কল, যা রাস্তার ধারে থাকে এবং ভাল্ব খুলে দিলে উচ্চ চাপে পানি বেরিয়ে আসে। শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে যুক্ত থাকে ফায়ার হাইড্রেন্ট। ফলে কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে হোস পাইপ লাগিয়ে দ্রুত পানি নিতে পারেন।

মেয়র আতিক বলেন, “বস্তিগুলোয় প্রায়ই আগুন লাগে। যে কোনো জনবসতিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকতেই হবে। আবার শুধু ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকলেই হবে না, তার সঙ্গে ফায়ার ড্রিল করতে হবে, যারা আগুন লাগলে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

“আমরা পুরো সব বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে পারি নাই। কিন্তু এটা অত্যন্ত খুশির বিষয় যে আজ আমরা কড়াইল বস্তি দিয়ে শুরু করলাম। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসি এলাকার সব বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা হবে।”

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, সাততলা বস্তিতে যে হাইড্রেন্ট করা হয়েছে তাতে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে। এরমধ্যে ২০ হাজার লিটার পর্যন্ত পানি বস্তির মানুষ গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। বাকী ৪০ হাজার লিটার পানি সংরক্ষিত থাকবে আগুন নেভানোর জন্য। আগুন লাগার পর এই পানি অন্তত ৪০ মিনিট ব্যবহার করা যাবে।

“চৌবাচ্চায় পানি থাকবে, হোস পাইপ থাকবে। পাম্প থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি দিতে হবে। ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থাপনায় ১৭ জন কর্মী থাকবে। আগুন লাগলে ঘণ্টা বেজে উঠবে। ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার ড্রিল যারা করেছেন তারা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন। আগুন নেভানোর পাশাপাশি বস্তিবাসীদের নিরাপদে বের হতেও সাহায্য করবেন তারা।”

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বস্তির টিনের ঘরের চালে রোদ পড়লে তা প্রচণ্ড উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এটা ঠেকাতে টিনের ঘরগুলোর ফাঁকে ফাঁকে গাছ লাগানো যায় কিনা তা নিয়ে ডিএনসিসি কাজ করছে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, সাততলা বস্তির মতো মহাখালী কাঁচাবাজারেও সমন্বিত অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর অন্য মার্কেটেও এই ব্যবস্থা চালু হবে।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা,  দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাছির, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আমেনা বেগম, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মাসুম পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন।