“আগামী দিনগুলো বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্বশাসন অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
Published : 17 Mar 2025, 09:53 PM
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগগুলোর দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব অনেকাংশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীল।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আইন সমিতি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
বিচারপতি রেফাত আহমেদ বলেন, একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ কেবল তখনই কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে যখন স্বতন্ত্র বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণ নিশ্চিত হয়।
“বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা জরুরি, যা অন্তবর্তিকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে টেকসই ও অর্থবহ করে তুলতে সক্ষম হবে।”
তিনি বলেন, “আগামী দিনগুলো বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্বশাসন অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগ সংস্কারের লক্ষ্যে ঘোষিত রোডম্যাপ এর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আইন সমিতি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “জাতি পুনর্গঠনের এই ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আইন সমিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই সমিতির সদস্যদের মেধা, আইনি দক্ষতা ও গভীর প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ দেশে ন্যায়বিচার, দক্ষতা ও জবাবদিহিতামূলক বিচারিক সংস্কারের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
“আইন সমিতি অন্তবর্তিকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণপূর্বক অংশীজনদের সাথে আলোচনা পরিচালনা, বিভিন্ন নীতিগত প্রশ্নে পরামর্শ প্রদান এবং আইন পেশার সাথে সম্পৃক্ত পেশাজীবীদের একত্রীকরণের মাধ্যমে আইন ও বিচারসেবা সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবসমূহের বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।”
আইন সমিতির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এম. আসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।