ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়া তামিমকে মারধরের ভিডিও দেখে ২২ বছর বয়সী রাসেলকে শনাক্ত করা হয়।
Published : 12 Oct 2024, 04:20 PM
দীপ্ত টেলিভিশনের কর্মকর্তা তানজিল হাসান তামিম হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাজধানী থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান জানিয়েছেন শনিবার ভোরে মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেছেন, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়া তামিমকে মারধরের ভিডিও দেখে ২২ বছর বয়সী রাসেলকে শনাক্ত করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে।
তামিম দীপ্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার কর্মকর্তা ছিলেন। মহানগর আবাসিক এলাকার চার নম্বর রোডের ডি-ব্লকের একটি বাড়ির আট তলার ফ্ল্যাটে তিনি থাকতেন।
ওই বাড়ির জমির মালিক তামিমের বাবাসহ মোট তিনজন।
ভবন নির্মাণের ব্যাপারে ডেভেলপার কোম্পানি প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজের সঙ্গে যে চুক্তি হয় তাতে জমির মালিককে পাঁচটি ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কোম্পানি দুটি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করলেওে তিনটি ফ্ল্যাট ভবন মালিকের হাতে তুলে দেয়নি।
ওই তিনটির মধ্যে একটি ফ্ল্যাট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মামুনের শ্বশুরের কাছে বিক্রি করে প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ। এ নিয়েই গত বছর তিনেক ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে তামিমদের বাড়িতে ঢোকেন ডেভেলপার কোম্পানির ‘প্লেজেন্ট প্রোপার্টিজ’ এর লোকজন। তাদের সঙ্গে বহিরাগত কয়েকজন ছিলেন। তারা ল্যান্ড ওনারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন।
তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তারা তামিমের বুকে কিল-ঘুষি দেন। এরপর তার গলা টিপে ধরেন। এরপর স্থানীয়দের কয়েকজন ওই বাড়ি থেকে তামিমকে উদ্ধার করে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তামিমকে হত্যার ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তার পরিবার।
হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “রাসেল এজাহারভুক্ত আসামি। আমরা ঘটনার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে রাসেলকে শনাক্ত করার পর গ্রেপ্তার করি।”
গ্রেপ্তার আরও ৫ জন হলেন-আব্দুল লতিফ (৪৬), কুরবান আলী (২৪), মাহিন (১৮), মোজাম্মেল হক কবির (৫২) ও বাঁধন (২০)। এই ৫ জন বর্তমানে চারদিনের রিমান্ডে রয়েছে।
এই মামলায় রসেলকেও আদালতে পাঠিয়ে ৭দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম আজম।
উপপুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান বলেছেন, এই মামলার আসামিদের মধ্যে একজন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মামুন। এছাড়া প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমও এজাহারভুক্ত আসামি।
পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কবির খান।