সোমবার রাত ২টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। পরে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
Published : 04 Feb 2025, 10:07 PM
অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ চেয়ে ঢাকার রাস্তায় লিফলেট বিতরণ করে আলোচিত লালমনিরহাটের কলেজ শিক্ষক মুকিব মিয়াসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া অন্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য কপিল হালদার সজল, মতিঝিল থানা যুবলীগের সদস্য কেএম সাইফুল খান, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সদস্য শেখ মোহাম্মদ হাফিজ ও হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আব্দুস সালাম লাভলু।
এদের মধ্যে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এদিন তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আমি জামিন চেয়ে শুনানি করি। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুকিব মিয়া ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
গত শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে তার লিফলেট বিতরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েলে আলোচনা শুরু হয়।
সোমবার রাত ২টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। পরে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আসামিরা লিফলেট বিতরণ করেন।
তারা লিফলেট বিতরণ, স্লোগান, মিছিল দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সরকার তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনের লক্ষে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে জনগণের সম্মুখে কালো আইন বাতিল, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়েছেন।
ঘটনার দিন আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।