এই ফি দিয়ে বছরে ১৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক হিমালয় পাদদেশের দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
Published : 03 Jun 2024, 06:33 PM
পর্যটকদের জন্য সুখবর দিয়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য প্রতিদিনের ফি ১০০ ডলার থেকে কমিয়ে ১৫ ডলার করেছে ভুটান সরকার।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এই ফি দিয়ে বছরে ১৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি’ (এসডিএফ) হিসাবে পর্যটকদের কাছ থেকে প্রতি রাতের জন্য ২০০ ডলার করে নিত ভুটান। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর পর ধুকতে থাকা পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে ২০২৩ সালের অগাস্টে ওই ফি কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে এনেছিল দেশটি।
ওই সময় সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে এক রাত থাকার নতুন এ ফি কার্যকর হবে, যা পরের চার বছর বহাল থাকবে।
কোভিডের আগে এ ফি ছিল ৬৫ ডলার; যা পরিবেশ রক্ষায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে নেওয়া হত। মহামারীকালের দুই বছর পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তোলার সময় ২০২২ সালে তা প্রায় তিনগুণ বাড়ানো হয়।
তখন বলা হয়েছিল, পরিবেশের ক্ষতি করে এমন পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করতেই এ সিদ্ধান্ত। এসডিএফ ফি পর্যটকদের কারণে সৃষ্ট কার্বন উৎপন্ন হওয়া ঠেকাতে ব্যবহার করা হবে।
এর আগে গত জুনে চার দিন বা এর বেশি সময় থাকলে প্রতি রাতের ফি কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তখন চার দিনের এসডিএফ পরিশোধ করে বাড়তি আরও চার দিন থাকার সুযোগ তৈরি করা হয়। এছাড়া ১২ দিনের এসডিএফ ফি দিয়ে থাকা যাবে পুরো মাস।
ভারতীয়রা ছাড়া পৃথিবীর সবদেশের নাগরিকদের প্রতিদিনের জন্য ১০০ ডলার করে ফি দেওয়া লাগত; বাংলাদেশিদের জন্য তা কমানোর অনুরোধ জানিয়ে আসছিল সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজকীয় ভুটান সরকারের পর্যটন বিভাগ বাংলাদেশিদের পর্যটকদের জন্য নীতি পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে।
“নতুন নীতির অধীনে বাংলাদেশি পর্যটকদেরকে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি’ (এসডিএফ) হিসাবে ১৫ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে। এই ফি ভারতীয় পর্যটকদের জন্য প্রযোজ্য ফির সমান।”
কমানো ফিতে প্রতি বছর ১৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। নতুন ভিসা নীতি ২ জুন থেকে কার্যকর হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, “বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।”
পুরোনো খবর: