“এবারও ঈদযাত্রার আগাম টিকেট শুধুমাত্র অনলাইনে বিক্রি হবে।”
Published : 14 Mar 2025, 09:38 AM
রোজার ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শুক্রবার সকাল ৮টায় অনলাইনে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রির মধ্য দিয়ে আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। এবারও ঈদযাত্রার আগাম টিকেট শুধুমাত্র অনলাইনে বিক্রি হবে।"
ট্রেনে এখন ১০ দিন আগে টিকেট ছাড়া হয়। সেই হিসাবে শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ২৪ মার্চের টিকেট।
এরপর ধারাবাহিকভাবে ২৫ মার্চের টিকেট বিক্রি হবে ১৫ মার্চ, ২৬ মার্চের টিকেট মিলবে ১৬ মার্চ, ২৭ মার্চের টিকেট পাওয়া যাবে ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকেট মিলবে ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকেট বিক্রি হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকেট মিলবে ২০ মার্চ।
ঈদযাত্রার শতভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রির কারণে কেন্দ্রীয় স্টেশন ঢাকার কমলাপুর কোনো ভিড় নেই। স্বাভাবিক সময়ের মতোই শুক্রবার সকালে সেখানে যাত্রীদের আনাগোনা দেখা গেছে। ঈদের টিকেট চেয়ে কাউন্টারে কাউকে খোঁজ করতে আসতে দেখা যায়নি।
কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল ৮টা থেকে ঈদযাত্রার টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। দিনের প্রথমভাগে পশ্চিমাঞ্চলের টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে পূর্বাঞ্চলের টিকেট বিক্রি শুরু হবে।"
২০২৩ সালের রোজার ঈদের টিকেট বিক্রির মধ্য দিয়ে ঈদযাত্রার শতভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। আর সার্ভারের চাপ কমাতে সকাল ও দুপুরে দুই শিফটে টিকেট বিক্রির প্রচলন শুরু হয় গত রোজার ঈদে।
স্টেশন মাস্টার আনোয়ার বলেন, “সব টিকেট অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে, আগে থেকেই সেটি বলা আছে। সেজন্য স্টেশনে টিকেট প্রত্যাশীরা খুব একটা আসেন না।
“আর আসলেও তাদেরকে কাউন্টার থেকে অনলাইনে টিকেট কাটতে বলে দেওয়া হচ্ছে।"
এবার ঈদ উপলক্ষে ৫ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলার কথা রয়েছে।
দুই ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চলের ৮৫% টিকেট বিক্রি
ঈদযাত্রার টিকেট বিক্রির প্রথমদিনে শুরুর দুই ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৮৫ শতাংশ টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমরা সকাল থেকে পশ্চিমাঞ্চলের টিকেট দিচ্ছি। পশ্চিমাঞ্চলে ১৫ হাজার ৭৭৩টা টিকেট। সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৮৫ ভাগ টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।"
শাহাদাত বলেন, “এ বছর ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে মোট ৬০টি ট্রেন প্রতিদিন ছেড়ে যাবে। এরমধ্যে ৪৩টি আন্তঃনগর, ২৫টি লোকাল ও কমিউটার ট্রেন এবং ২টি স্পেশাল ট্রেন।
“এসব ট্রেনে ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৬০ হাজারের বেশি টিকেট বিক্রি হবে। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ২৫৭টি টিকেট আন্তঃনগরের, বাকি ২৭ হাজার টিকেট লোকাল ও কমিউটার ট্রেনের।"
এর বাইরে আন্তঃনগরের ৪৩টি ট্রেনে ৫৫-৬০টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পরিকল্পনার রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্পেশাল ট্রেনের মধ্যে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, ঢাকা-চট্টগ্রাম, জয়দেবপুর-পার্বতীপুর, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে চারটি প্রতিদিন আর ঈদের দিন শুধু ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রুটে ট্রেন চলবে।
টিকেট কালোবাজারি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রেল কর্মকর্তা শাহাদাত বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে টিকেট বিক্রি ও যাত্রা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনলাইনে বিক্রি না হলে টিকিট বিক্রিতে কালোবাজারির নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।
“আমার যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা আছে ৬০ হাজার, কিন্তু চাহিদা ৬ লাখ। স্বাভাবিকভাবেই সবাইকে টিকেট দেওয়া আমার সম্ভব না।"