দেশটির বাগাদিয়া ব্রাদার্স নামের একটি কোম্পানি থেকে চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
Published : 20 Feb 2025, 09:20 PM
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার পরিষদের বৈঠকে প্রতি টন ৪৩৪ দশমিক ৫৫ ডলারে ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স নামের একটি কোম্পানি থেকে নন-বাসমতি এই চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে ছিলেন।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার থেকে সরকারিভাবে আমদানি করা ২৩ হাজার টন আতপ চাল নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার ‘জি-টু-জি’ চুক্তির আওতায় এসব চাল আসে।
মিয়ানমার থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টন চাল আমদানির অংশ হিসেবে সবশেষ চালানে ওই চাল আসে বাংলাদেশে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে গুদাম নির্মাণের প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে ৩৪টি ‘বাফার গুদাম’ নির্মাণের অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জে ১৫ হাজার টনের একটি এবং মুন্সিগঞ্জে আরেকটি গুদাম নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ১২০ কোটি টাকায় এ কাজ করবে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বা এনডিই।
যশোরে ১৫ হাজার ও নড়াইলে ১০ হাজার টনের গোডাউন নির্মাণের কাজ পেয়েছে ফরিদপুরের এআইএল-এসসিএল জেভি। এ প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১১৭ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৭ টাকা।
মাতারবাড়ি বন্দরের উন্নয়নে ৩ প্যাকেজ অনুমোদন
এদিন মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়নে তিনটি প্যাকেজে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি।
জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা জাইকার আর্থিক সহায়তায় মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ চলমান। বন্দর নির্মাণের সিভিল ওয়ার্কস প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৬ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাপানের প্যান্টা ওসেন এই উন্নয়ন কাজ করছে।
বন্দর নির্মাণের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন কর্মকাণ্ডে ৩ হাজার ২০৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ের একটি প্যাকেজের কাজ দেওয়া হয়েছে জাপানের টোকিও-মিল জয়েন্ট ভেঞ্চারকে। সড়ক উন্নয়নে আরেকটি ৩ হাজার ৫৭৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ের প্যাকেজের কাজও দেওয়া হয়েছে তাদের।
ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যেসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেখানে কোনো মেগা প্রকল্প নেই। মাতারবাড়িতে যেটা করা হচ্ছে, সেটা জাপানের অর্থায়নে একটি প্রকল্প। জাপানি ঋণের বেশ ভালো সুবিধা রয়েছে। এগুলো একটা পর্যায়ে গ্রান্ট হিসেবে গণ্য করে দেশটির সরকার।