“তারা শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছে; তাকে সরাতে পারলে বাংলাদেশ আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না,” বলেন তিনি।
Published : 02 Jun 2024, 06:27 PM
এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে টেনে ধরার জন্য রাষ্ট্রবিরোধী চক্র ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “সরকারের মধ্যে ঢুকে থেকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আজকে কতিপয় গোষ্ঠী মহাপরিকল্পনা করছে। সেজন্য তারা শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছে। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশ আর মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবে না।”
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের গদাবাড়ী গ্রামে ৯২ বছর বয়সী কামবালা বেওয়াকে রোববার পাকা ঘর হস্তান্তর এবং তার নামে গ্রামের সড়কটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।
গদাবাড়ী গ্রামের মধ্য দিয়ে এক কিলোমিটারের বেশি কাঁচা রাস্তা যেটি মূল সড়ক পর্যন্ত সংযুক্ত। গ্রামের এ রাস্তা পাকা করে ‘কামবালা সড়ক’ নামে নামকরণ করা হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ধর্মপুর ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ বাজারে খালিদ মাহমুদের পথসভায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন দরিদ্র কামবালা। নির্বাচনে জয় পেয়ে সংসদ সদস্য তার বাড়িতে যান। তার জরাজীর্ণ মাটির বাড়িতে পরে তিনটি পাকা ঘর করে দেন।
রোববার সেই ঘর হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “একটি ভোট মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছিলাম। তিনি বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু ২০০১ সালে নির্বাচনে বাংলার মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল বাংলাদেশের মানুষকে নির্যাতন, নিপীড়ন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, হাওয়া ভবন করে দেশের মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে।
“তখন দেশের মানুষের কোনো স্বাধীনতা ছিল না, বাক স্বাধীনতার ছিল না, জীবনের নিরাপত্তা ছিল না, সংসদ সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা ছিল না। আজকের প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদের জনপদ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে চেয়েছিল।”
বর্তমান সরকারের মেয়াদে কেউ ভূমিহীন, ঘরহীন থাকবে না দাবি করে খালিদ মাহমুদ বলেন, “আজ শুধু গদাবাড়ীর কামবালা নয়, সারা বাংলাদেশের কোনো জায়গা ভূমিহীন থাকবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি ধীরে ধীরে বাংলাদেশে ভূমিহীন শূন্যের কোটায় চলে যাচ্ছে।
“আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলে আমরা দরিদ্রতা জয় করেছি। বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আপনার একটি ভোটের কারণে ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে তার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করবে।”
দিনাজপুরের ডিসি শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর ও সাধারণ সম্পাদক বাবু রমাকান্ত রায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।