অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের সবপর্যায়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী।
Published : 10 Jan 2025, 01:24 AM
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে পোশাক খাত ছাড়াও ওষুধ, স্বাস্থ্যসেবা, প্রতিরক্ষা শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস এসেছে তুরস্কের তরফ থেকে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ওমর বোলাত বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক প্রধানত বস্ত্র আমদানি করে। দুই দেশ টেক্সটাইল শিল্প ছাড়াও অন্যান্য খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে পারে। প্রতিরক্ষা শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ এবং কৃষিযন্ত্রপাতিতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা থাকতে পারে।
বাংলাদেশের আমদানি গন্তব্য হিসেবে ভারত ও অন্যান্য বাজার পরিবর্তনের কথাও বলেন বোলাত। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের সবপর্যায়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টিও তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওমর বোলাতের নেতৃত্বে তুরস্কের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন।
এসময় বাংলাদেশের তরফ থেকে বিনিয়োগের আহ্বানে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের তরুণদের কাজে লাগানোর পাশাপাশি তুরস্ককে প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মুহাম্মদ ইউনূস।
দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ওমর বোলাতকে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ। আমরা সবক্ষেত্রেই তা প্রসারিত করতে চাই। আমাদের অনেক কিছু করার আছে।
“কিছু বিষয়ে আমরা আপনাদের সহযোগিতা, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ চাই। এখানে আপনারা প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলতে পারেন। আসুন শুরু করি। আমরা আপনাদের প্রয়োজনীয় যেকোনো বিষয়ে প্রস্তুত আছি।”
বাংলাদেশের যুবকদের কর্মসংস্থানে তুরস্কের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে। আমাদের তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। এটা আমার আবেদন।”
এ অঞ্চলে তুরস্কের পণ্য সরবরাহে কারখানা স্থাপন করে বাংলাদেশি তরুণদের কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৮১ মিলিয়ন ডলার। আমদানি ছিল প্রায় ৪২৪ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে প্রায় ২০টি বড় তুর্কি কোম্পানি বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, আনুষঙ্গিক পণ্য, রাসায়নিক, প্রকৌশল, নির্মাণ ও জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করছে। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে আইগাজ, কোকা-কোলা আইসেক এবং আরসিলিক।
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে গত অগাস্টের ফোনালাপ এবং তারপর অক্টোবরে দেশটির আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন।