Published : 13 Mar 2025, 08:57 PM
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফরকালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের, বিশেষ করে নারী ও মেয়ে শিশুদের সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে একশনএইড বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার একশনএইড বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংকট এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পূর্ণ খাদ্য রেশন পুনরুদ্ধার করতে এবং নারী ও কিশোরীদের অগ্রাধিকার দিয়ে লিঙ্গ-সংবেদনশীল সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরি তহবিল দেওয়ার আহ্বান রইল। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় টেকসই প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন পরিকল্পনাসহ দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।”
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) গত শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, জরুরি নতুন তহবিল পাওয়া না গেলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাসিক রেশন ১২.৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলারে নামিয়ে আনতে হবে।
এর ফলে দেশের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর খাদ্য সহায়তা হুমকির মুখে পড়েছে।
একশনএইডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তহবিল কমিয়ে আনার ফলে নারী ও কিশোরীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
“গর্ভবতী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মা, কিশোরী এবং শিশুরা ইতোমধ্যে তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মৃত্যুর হার বাড়িয়ে তুলতে পারে। খাদ্য ঘাটতির চাপে পারিবারিক সহিংসতা এবং শোষণসহ জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলবে।”
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার (এসআরএইচআর) পরিষেবা বিঘ্নের আশঙ্কা, যার ফলে নারী ও কিশোরীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করছে একশনএইড।
২০২৩ সালে তীব্র অর্থায়ন সংকটের কারণে ডব্লিউএফপি রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশন ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলারে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়। এর ফলে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে যায় এবং ২০১৭ সালের পর শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। পরে নতুন অর্থায়ন পাওয়ার পর রেশন আবার কিছুটা বাড়ানো হয়।