গত ১০ জুলাই রাত থেকে একই ব্যক্তি একই ফোন নম্বর থেকে ক্রমাগত ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছে বলে এক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জানান।
Published : 15 Jul 2024, 03:13 PM
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীরকে কয়েক দিন ধরে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার তিনি পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন, যাতে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘উড়িয়ে’ দিতে চেয়েছেন হুমকিদাতা।
ঘটনার বিষয়ে জানতে এস এম মুনীরকে না পেয়ে কথা হয় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শাহীন মীরধা’র সঙ্গে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিডি করার পরও ওই লোকটি ক্রমাগত ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কী করছে বুঝতে পারছি না। তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। বিষয়টি অ্যটর্নি জেনারেল স্যারকেও জানিয়েছি।”
শুক্রবারও হুমকিদাতা ফোন করেছে জানিয়ে শাহীন মীরধা বলেন, “গতকাল আমি পল্টন মডেল থানায় এস আই পারভেজ ভূঁইয়াকে এ ব্যাপারে কী অগ্রগতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ওই ব্যক্তির ফোন নম্বর থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র শনাক্ত করেছেন।”
এস আই পারভেজের সঙ্গে যে কথা হয়েছে তা তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছেন বলে জানান।
সাধারণ ডায়েরিতে এস এম মুনীর লিখেছেন, “গত ১০ জুলাই দিবাগত রাতে আমি পল্টন মডেল থানাধীন ৩৬ কাকরাইলস্থ আমার বাসায় অবস্থানকালে রাত ১০.৫১ মিনিটে জনৈক ব্যক্তি তার মোবাইল হতে আমার মোবাইলে ফোন করলে আমি রিসিভ করি, তখন ঐ ব্যক্তি নিজেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান আর্মির হেড পরিচয় দিয়ে বলে, রাজবাড়ীতে হত্যা মামলার সঠিক পরিচালনা না করলে এবং শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দেয়- তবে আমার কাছে এমন যন্ত্র আছে, যা দিয়ে শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশকে উড়িয়ে দেবে।
“এছাড়া আমাকেও জীবননাশের নানা হুমকি দেয়। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক ৯৯৯ কল দিলে পল্টন মডেল থানা পুলিশকে লাইন সংযোগ লাগিয়ে দিলে পল্টন মডেল থানার এস আই মো. ইব্রাহিমকে ঘটনার বিষয়টি অবহিত করি।”
এস এম মুনীর অভিযোগ করেছেন, “পরদিন ১১ জুলাই সকাল ১০.৫৮ মিনিটে একই ব্যক্তি একই মোবাইল ফোন নম্বর থেকে পুনরায় কল দিয়ে বলে, ‘পুলিশকে জানানোর কারণে আপনার বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে’।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন থানার ওসি মনির মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "যিনি হুমকি দিয়েছেন তার পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পরে জানা যাবে- প্রকৃত ঘটনা কী।"