দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
Published : 11 Mar 2025, 02:56 PM
ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুদাসদনসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরো কিছু সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
শেখ হাসিনার স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ডাক নাম ছিল সুধা মিয়া। তার নামেই এ বাড়ির নামকরণ।
সুধাসদনের সামনের ভবনের একটি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা জানান, গত তত্ত্বাবধায়ক আমলে শেখ হাসিনা এই বাড়িতে কিছুদিন ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচন এখান থেকেই করেন তিনি। সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি রাষ্ট্রীয় বাসভবনে থেকেছেন। এই বাড়িতে কিছুদিন আওয়ামী লীগের কিছু অফিস ছিল। পরে সেটি তালাবদ্ধই থাকত।
ফেব্রুয়ারিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনার মধ্যে সুধাসদনেও আগুন দেওয়া হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ছাড়াও তার দুই ছেলেমেয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা এবং তার দুই সন্তান টিউলিপ সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের কিছু সম্পত্তি জব্দেরও আদেশ এসেছে।
জব্দের আদেশ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে জয় ও পুতুলের নামে থাকা ধানমন্ডিতে ষোল কাঠা জমিসহ 'সুধাসদন' ও ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের লে আউট প্ল্যানের ০.২৬৪০ একর ভূমির যাবতীয় ইমারত আছে।
শেখ রেহানার নামে থাকা গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক ইউনিয়নের দুইটি দলিলে ৯.৬০ শতাংশ জমি ও ঢাকার সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন ভিলায় ফ্ল্যাটও জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রেহানার মেয়ে টিউলিপের নামে গুলশান আবাসিক এলাকায় ইস্টার্ন হারমনি ভবনে একটি ফ্ল্যাট ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামে গুলশানের নিকেতন এলাকায় এ ব্লকে ০২০১.১ শতাংশ ভূমির উপর নির্মিত ৭ তলা ভবন রয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে দেখা যায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। তাই এসব সম্পত্তি জব্দের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে দুদক।