প্রস্তাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় 'শূন্য কার্বন' নিশ্চিত করার জন্য নতুন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে।
Published : 09 Sep 2024, 02:56 PM
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত সংস্কারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি দূর করাসহ ১৬ দফা দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউজিইডি)।
এই সংস্কার প্রস্তাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় 'শূন্য কার্বন' নিশ্চিত করার জন্য নতুন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।
সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিঠির অনুলিপি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
১৬ দফা দাবি
• বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ (সংশোধনীসহ) অবিলম্বে বাতিল করা।
• স্বাধীন গণতদন্ত কমিশন গঠন করা।
• প্রাথমিক পরিবেশগত নীরিক্ষা (আইইই) ও পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন (ইআইএ) উন্মুক্ত এবং বাধ্যতামূলক করা।
• জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে "নো ইলেক্ট্রিসিটি নো পে" নীতির আওতায় আনা।
• চুক্তি সম্পাদিত তবে নির্মাণাধীন নয়, এমন সব জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করা।
• অনুমোদিত এবং প্রস্তাবিত নতুন এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ বাতিল করা।
• নবায়নযোগ্য জ্বালানি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা।
• 'শূন্য কার্বন' নিশ্চিত করার জন্য নতুন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা।
• নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করা।
• টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষ-কে স্বতন্ত্র ডিভিশনের মর্যাদা প্রদান করা।
• নবায়নযোগ্য জ্বালানির যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানি কর ও ভ্যাট মওকুফ করা।
• সহজ শর্তে ও স্বল্প বা বিনাসুদে মোট নির্মাণ ব্যয়ের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি ব্যাংক ঋণ প্রদান করা।
• হাইব্রিড যানবাহনের আমদানি শুল্ক ও নিবন্ধন ফি কমপক্ষে ৩০ শতাংশ কম এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কম করা।
• সৌরভিত্তিক চার্জিং স্টেশন অনুমোদন।
• সৌরপ্যানেল নির্মাণ ও পুনর্নবায়নের জন্য ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা।
• তরুণ উদ্যেক্তা ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা।