মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম, এসি তানজিল আহমেদ, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন ও এসআই শাহাদাৎ আলী।
Published : 20 Aug 2024, 09:30 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সিহংসতার সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় কলেজছাত্র ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
নিহত তাইম রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম. ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম শাকিল আহম্মদের আদালতে তাইমের মা মোছা. পারভীন আক্তার মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ১ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম, এসি তানজিল আহমেদ, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন ও এসআই শাহাদাৎ আলী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সরকার গত ২০ জুলাই কারফিউ জারি করে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সাথে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা পান করতে যান। ওই সময় কোটা আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিলেন।
তখন ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়। প্রাণভয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ছোটাছুটি করতে থাকে।
তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা দোকানের ভেতর ঢুকে শার্টার নামিয়ে দেন। কিন্তু শার্টারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিল।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, এক পর্যায়ে সেখানে অবস্থানকারীদের পুলিশ টেনে বের করে। ওসি জাকির হোসেন গুলি থেকে বাঁচতে চাইলে দৌড় দিতে বলেন। তখন তাইম সবার আগে দৌড় দিলে জাকির গুলি করেন। এতে তাইম ঘটনাস্থলেই মারা যান।