এরপর কড্ডা থেকে গাবতলী এবং গাবতলী থেকে সদরঘাট রুটেও স্পিডবোট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র।
Published : 10 Sep 2022, 03:02 PM
ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোটের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুটি রুট চালু করল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শনিবার টঙ্গী নদীবন্দর থেকে কড্ডা ও উলুখোলা রুটে স্পিডবোট চলাচল উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে এই দুটি রুটে পাঁচটি স্পিডবোট দিয়ে সেবা চালু হল।
“পর্যায়ক্রমে কড্ডা থেকে গাবতলী এবং গাবতলী থেকে সদরঘাট রুটেও এ সেবা চালু করা হবে।”
টঙ্গী-কড্ডা ও টঙ্গী-উলুখোলা রুটে স্পিডবোটগুলো ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। টঙ্গী থেকে কড্ডার ভাড়া ১৫০ টাকা, টঙ্গী থেকে উলুখোলার ভাড়া ১২০ টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইনফিনিটি মেরিটাইমের মাধ্যমে এ সেবা চালু করা হল।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মাওয়া ঘাটে স্পিডবোটের চাহিদা কমে গেছে। অন্যদিকে ঢাকা শহরে সড়কে যানজটের কারণে নৌপথে চলাচল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওই সম্ভাবনা কাজে লাগাতেই নৌ রুট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বলেন রফিকুল।
বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, সকাল ১১টায় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল টঙ্গী নদী বন্দরে বিআইডব্লিউটিএএর ইকোপার্ক এবং দুপুরে টঙ্গী নদী বন্দর হতে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিসের ফলক উন্মোচন ও উদ্বোধন করেন।
রাজধানীতে যানবাহনের চাপ কমাতে চারপাশ ঘিরে বৃত্তাকার নৌপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০০ সালে। এই নৌপথ দিয়ে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজে যাতায়াত করতে পারবে মানুষ।
কিন্তু বৃত্তাকার নৌপথে ২০০৪, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে চার দফা ওয়াটার বাস ও লঞ্চ নামানো হলেও সব কয়টি কিছুদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।