শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যমজ ভাই-বোনের ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের যে বাধ্যবাধকতা ছিল তা অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত।
Published : 07 Dec 2023, 12:01 AM
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন শ্রেণিতে বর্তমানে অধ্যয়নরত ২১ শিক্ষার্থীর সহোদরাকে এক সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
একই সঙ্গে যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহোদর-সহোদরা বা যমজ ভাই-বোনের ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের যে বাধ্যবাধকতা ছিল তা অবৈধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ব্যারিস্টার আরিফ চৌধুরী।
এসব জমজ শিক্ষার্থীকে আগামী শিক্ষাবর্ষে (২০২৪ সাল) ভর্তি করাতে বলা হয় বলে আইনজীবীরা জানান।
বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই-বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে সকল সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই-বোনের জন্য ৫% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। কোনো দম্পতির সর্বোচ্চ দুই সন্তানের জন্য তা প্রযোজ্য হবে।
এক্ষেত্রে আবেদন সংখ্যা অধিক হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে উক্ত ৫% শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে।
ভিকারুননিসা স্কুলে ২০২৩ সালে ৫৬ জন ভর্তিচ্ছু জমজ শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। ৫ শতাংশ কোটা থাকায় তাদের মধ্যে ৩৫ জন ভর্তি হতে পেরেছিল; বাকি ২১ জন পারেনি।
রায়ের পর আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে ভর্তিচ্ছু ২১ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে হাই কোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন তাদের অভিভাবকরা। সব রিটের শুনানি নিয়ে নীতিমালা স্থগিত করে তাদের ভর্তির নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
একই সঙ্গে ৫% শিক্ষার্থীকে ভর্তি করার নীতিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।
এ রায়ে ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে ৫ শতাংশের বাধ্যবাধকতা অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং ভর্তি হতে না পারা ২১ জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।