২০১৮ সালের শুমারিতে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ১১৪টি।
Published : 29 Jul 2023, 08:25 PM
বাঘকে ‘স্বাভাবিক জীবনযাপনের’ সুযোগ করে দিতে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ সীমিত করার ওপর জোর দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
তিনি বলেছেন, বাঘ সংরক্ষণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সরকার বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগে বাঘ গণনার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং পূর্ব বন বিভাগে অবশিষ্ট কার্যক্রম যথাসময়ে শুরু হবে।
বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর বন অধিদপ্তরে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী এ তথ্য দেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
উপমন্ত্রী বলেন, “বাঘের নিরাপত্তা, বিশ্রাম ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ সীমিত করতে হবে। বাঘ সংরক্ষণে বন বিভাগ যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।”
সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে বনভূমি ৪ হাজার ৮৩২ এবং জলাভূমি ১ হাজার ১৮৫ বর্গকিলোমিটার।
২০১৫ সালের বাঘশুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘ ছিল ১০৬টি। আর ২০১৮ সালের শুমারিতে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ১১৪।
সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা এখন কত, তা জানতে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা কার্যক্রম চলছে। এ বছর ৩০ এপ্রিল পশ্চিম বন বিভাগের আওতাধীন খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ওই দুই রেঞ্জে বাঘের সংখ্যা আগের তুলনায় বাড়ার ইংগিত মিলেছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের কাজ শুরু হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ অনুষ্ঠানে বলেন, “বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণে আমরা সাংবিধানিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাঘ সংরক্ষণে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
“সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রয়াসে এ অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। এ কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, আইইউসিএন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও দক্ষিণ এশিয়া উপ-অঞ্চল প্রধান রাকিবুল আমিন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বক্তব্য দেন।