দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে পরস্পরের প্রতি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় প্যানেল আইনজীবীগণের ভূমিকা ‘ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে; কিন্তু প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে।“
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের যেমন মানবাধিকার রয়েছে; তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশেরও মানবাধিকার রয়েছে বলেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
ওবায়দুল হাসান বলেন, “রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করলে যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। ঠিক তেমনি পুলিশের ওপরও অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করলে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়।“
গত ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় দৈনিক বাংলা এলাকায় এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
প্রধান বিচারপতি আসামিদের পায়ে ডাণ্ডা বেড়ি পরানো নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, “শুধু ভয়ঙ্কর আসামিদের আদালতের অনুমতি নিয়ে ডাণ্ডা বেড়ি পরানোর কথা একটা রায়ে বলেছে আদালত। কারণ, ডাণ্ডা বেড়ি পরানো না থাকার কারণে কিছুদিন আগে আদালত থেকে আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।”
মানবাধিকার রক্ষায় প্যানেল আইনজীবীদের কাজ করার আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য মো. সেলিম রেজা।
অন্যান্যের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।