“গণতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তবিক অর্থে যেসব ঘটনা গত ২০-২৫ বছর ধরে তাদের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেগুলো মোকাবেলায় জনগণের ভূমিকাও গুরুত্বের দাবি রাখে।”
Published : 16 Apr 2025, 01:32 PM
বাংলাদেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর; পাশাপাশি এক্ষত্রে নির্বাচন, গণতন্ত্র এবং মানুষের সম্পৃক্ততার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদ’ নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
তিনি বলেন, “দিনশেষে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বাংলাদেশিরা। তারা যেটা মোকাবেলা করার কথা আপনি বর্ণনা করেছেন এবং অন্যান্য বিষয়ে- আমরাও প্রতিবেদন দেখেছি। এবং নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই না গতানুগতিক কথা বলি, তবে এটা সত্য।
“গণতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তবিক অর্থে যেসব ঘটনা গত ২০-২৫ বছর ধরে তাদের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেগুলো মোকাবেলায় জনগণের ভূমিকাও গুরুত্বের দাবি রাখে। বিকল্প হাতে কী আছে, তা পৃথিবীর অনেক দেশের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট।”
বাংলাদেশে ‘উগ্রবাদ’ নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সময়ে প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন ও নাৎসি স্যালুট এবং কোকাকোলা ও কেএফসির মত কোম্পানি ভাঙচুরের বিষয়ে বিশদ বক্তব্য দিয়ে ওই প্রশ্ন করতে যান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক সাংবাদিক।
প্রশ্ন শেষ করার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, “আমি আপনার কথা শুনেছি, জানি এবং আপনার আবেগকে সাধুবাদ জানাই। বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কিছু ইস্যু নিয়ে থাকা দেশ। এটা এমন দেশ, যেটা নিয়ে আমরা প্রায়শ কথা বলেছি; তার মধ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরও রয়েছে। সুনির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটকে আমি এখন দূরে রাখতে চাই।”
প্রশ্নকারী সাংবাদিকের বক্তব্যে বিষয়টি না থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রসঙ্গ টানেন ট্যামি ব্রুস।
প্রশ্নকারীর বক্তব্যে উঠে আসা উগ্রবাদের প্রসঙ্গ এবং গ্রেপ্তারের বিষয়টি মেটানোর দায়িত্ব সরকারের বলে মন্তব্য করে মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশের বিষয়ে উল্লেখ করার আমার কাছে যা রয়েছে, তা হচ্ছে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের গ্রেপ্তারের বিষয়।
“বাংলাদেশের আদালত তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই বিষয় এবং যেসব বিষয়ে আপনি কথা বলছেন, বিক্ষোভ প্রভৃতি; সেগুলো মেটানোর দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের বিষয় এবং তাদের সঙ্গে কথা বলাটাও গুরুত্ব বহন করে।”