সাক্ষী করা হয়েছে ভুক্তভোগী ৪০ আইনজীবীকে।
Published : 20 Aug 2024, 01:58 PM
বছর খানেক আগে পুরান ঢাকার জনসন রোডে আইনজীবীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের মামলার আবেদন করলে শুনানি নিয়ে হাকিম সাইফুল ইসলাম অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে কোতোয়ালী থানাকে নির্দেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- ডিএমপির সাবেক কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, সাবেক ডিসি (লালবাগ জোন) জাফর হোসেন, সাবেক এসি (কোতোয়ালী) শাহীনুল রহমান, বর্তমান ডিসি (প্রসিকিউশন) আনিসুর রহমান, সাবেক এডিসি (কোতোয়ালি) মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, সাবেক এডিসি (লালবাগ জোন) শহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি শাহিনুর রহমান, ওসি (অপারেশনস) নাজমুল হাসান, পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান, এসআই শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, কনস্টেবল মাহবুব আলম, আব্দুর রশীদ, রমজান মোল্লা ও বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ভোটের অধিকার, আইনের শাসন পুনরুদ্ধারের জন্য গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর জনসন রোডে পদযাত্রা বের করে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট (বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন)।
স্টার কাবাবের সামনে আইনজীবীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এ সময় নারী আইনজীবীদের শ্লীলতাহানি করা হয়।
মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার পুরুষ ও নারী আইনজীবীর নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি তারা শরীরের কোথায় আঘাত পেয়েছেন, কোন পুলিশ কী ধরনের আঘাত করেছেন তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে আরজিতে।
এতে বলা হয়, ঘটনাটি নিয়ে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য দেন।
বাদী হান্নান ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা আইনজীবীদের রক্তাক্ত জখম করে, হত্যার চেষ্টা চালায়।
“পেশাদারিত্ব, জনগণের সেবার ধর্ম ভেঙে জাতিকে বিভ্রান্ত করে এবং তাদের করা অন্যায় চেপে গিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পদলেহী ভূমিকা পালন করেন।”
মামলায় ভুক্তভোগী ৪০ আইনজীবীকে সাক্ষী করা হয়েছে।