দেশের কয়েকটি জেলায় ২৯ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকারের নির্বাচন থাকায় পরীক্ষা একদিন পেছানো হল।
Published : 13 Dec 2022, 12:26 PM
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়েছে।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা নেওয়ার সূচি দেওয়া হলেও সেদিন দেশের কয়েকটি জেলায় স্থানীয় সরকারের নির্বাচন থাকায় পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হবে। আমরা মাঠপর্যায়ে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।”
নজরুল ইসলাম জানান, দেশের প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে এর আগে জানানো হয়েছিল। সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে এখন।
দুই ঘণ্টার এ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
২০০৯ সালে জাতীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু করে সরকার। এরপর থেকে ওই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই দেওয়া হত মেধা বৃত্তি।
তার আগে শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে বৃত্তি পরীক্ষায় বসতে হত। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়।
মহামারীর কারণে গেল দুবছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। পরে জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে যেহেতু, সেহেতু সমাপনী পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না।
এ পরিস্থিতিতে প্রাথমিকে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে এক যুগ পর আবারও আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা ২৯ ডিসেম্বর
প্রাথমিকে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা
আগামী বছর থেকে ধাপে ধাপে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম শুরু হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং অষ্টম শ্রেণিতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার কোনোটিই নেই।
সর্বশেষ প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয় ২০১৯ সালে। ওই ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়