‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের আয়োজনে শিশুদের পরিবেশনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
Published : 16 Nov 2024, 01:41 PM
নতুন ধান ঘরে তোলার সময় গ্রামীণ জনপদে যে উৎসবের ছোঁয়া লাগে, চারদিক মৌ মৌ করে পিঠা-পুলি, পায়েসের মিষ্টি সৌরভ, তার কিছুটা আমেজ ব্যস্ত নগরে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছরের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলা মেতেছে ‘নবান্ন উৎসবে’।
শনিবার সকালে বাংলার ফসল তোলার এই উৎসবের সূচনা নয় হাসান আলীর বাঁশির সুরের মূর্ছনায়। পরে নাচ, গান আর আবৃত্তিতে মুখর হয় অগ্রহায়ণের প্রথম সকাল, যা চলবে রাত পর্যন্ত।
‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের আয়োজনে শিশুদের পরিবেশনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সহ সভাপতি মানজার চৌধুরী সুইট।
উৎসব সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে দুটি পর্বে।
সকালে প্রথম ভাগে শিল্পীরা নানা পরিবেশনায় অংশ নেন। পরে দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় ভাগের পরিবেশনা।
সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, আবৃত্তি শিল্পীরা একক ও দলীয় বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন সকালে। একই সাথে ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনাও।
উদযাপন পর্ষদের সহ সভাপতি বলেন, “ঢাকায় নবান্ন উৎসবের ধারাবাহিক এই আয়োজন ২৫ বছর পূর্ণ করে ২৬-পা রেখেছে। নগরের তরুণ প্রজন্মকে গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৯ সাল থেকে আমরা এই আয়োজনটি করে আসছি।
“কোভিডের সময় ভার্চুয়ালি উৎসব করেছি, ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছরই উৎসবটি হয়েছে।”
সুইট বলেছেন, বাংলা পঞ্জিকার নিয়ম অনুযায়ী, পহেলা অগ্রহায়ণ দিনব্যাপী এই নবান্ন উৎসব আয়োজন করা হয়।
“অনেক পালাবদলেও বাঙালির নবান্ন আজও পুরোপুরি মলিন হয়নি“, ভাষ্য এই আয়োজকের।
উৎসবে সকালের পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ধানবিজ্ঞানী ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।
উৎসব আসা সবাইকে পিঠা, খৈ, মুড়কি, মোয়া, মুরালি, বাতাসা ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।