দুপুর আড়াইটার দিকে শাহবাগ মোড় আটকে অবস্থান নেন অভ্যুত্থানে আহতরা।
Published : 17 Feb 2025, 06:34 PM
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দুই ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি, নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের জন্য হাটলাইন চালুর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আহতরা।
তাদের অবরোধের কারণে সায়েন্স ল্যাব হয়ে আসা কোনো যানবাহন শাহবাগ মোড় হয়ে মৎস্য ভবনের দিকে যেতে পারছে না। বিকল্প সড়কে যানবাহন চলাচল করলেও দুর্ভোগে পড়েছে এ পথে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
এ পথে চলাচল করা মোটরসাইকেল চালক সুমন বলেন, “ধানমন্ডি থেকে এসেছি, তাঁতিবাজার যাব। শাহবাগ মোড় পার হতে পারছি না। উল্টো পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আসতে বলা হচ্ছে, বইমেলার কারণে ওই দিকেও জ্যাম।”
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে শুরু হওয়া এই অবরোধ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকেও চলছিল। গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ে চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আশপাশের সড়কে দেখা দিয়েছে যানজট।
বাসচালক আলআমিন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দিয়ে ঘুরে যেতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শাহবাগ মোড় অতিক্রম করতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। বেশিরভাগ যাত্রী নেমে গেছে।”
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত আরাফাত সানি নামে একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আহতদের তিন-চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হচ্ছে, এ দুইটি ক্যাটাগরি ভাতা পাবে, বাকিদের দেওয়া হবে না, এট বৈষম্য।
“আমরা চাই যেন সব আহতদের দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হোক। আমরা যখন উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম তারাও এরকম জানিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “আমরা আহতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আহতদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য হট লাইন নাম্বার চালু করার দাবি জানাচ্ছি।”
আরেক মোটরসাইকেল চালক জাবেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মোহাম্মদপুর থেকে এসেছি, নবাবপুর যাব। কিন্তু শাহবাগ মোড় আটকা, উলটো পথে ঘুরে আসতে বলছে কিন্তু উলটো পথেও প্রচুর জ্যাম। প্রতিদিন এমন এমন দুর্ভোগ থেকে আমরা মুক্তি চাই।”
শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালেদ মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। এতে সড়কে গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।”