৭৫ বছর বয়সী অসীম সাহা ডায়াবেটিস ছাড়াও বার্ধক্যের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। পারকিনসন ডিজিজেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
Published : 18 Jun 2024, 05:31 PM
ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা।
কবি ইউসুফ রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে অসীম সাহাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কবি অসীম সাহার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। ডায়াবেটিস ছাড়াও বার্ধক্যের নানা জটিলতায় তিনি ভুগছিলেন। পারকিনসন ডিজিজেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কবি অসীম সাহা আর আমাদের মাঝে নেই। মরদেহ কোথায়, কখন সমাহিত করা হবে, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
১৯৪৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন অসীম সাহা। পিতৃপুরুষের ভিটা মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার তেওতা গ্রাম হলেও শিক্ষক অখিল বন্ধু সাহার কলেজের চাকরিসূত্রে তারা থাকতেন মাদারীপুরে।
মাদারীপুরের নাজিমুদ্দিন মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পাস করে ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন অসীম সাহা।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ১৯৭৩ সালে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান।
অসীম সাহার লেখালেখি শুরু ১৯৬৪ সালে। ঢাকার পত্রিকায় ছোটদের জন্য লেখা ছাপা হয় ১৯৬৫ সালে। সেই থেকে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছড়া, কিশোর কবিতা, গান রচনা করে গেছেন কবি অসীম সাহা।
এ পর্যন্ত ৩০টি বই প্রকাশিত হয়েছে তার। পূর্ব-পৃথিবীর অস্থির জ্যোৎস্নায় (১৯৮২), কালো পালকের নিচে (১৯৮৬), পুনরুদ্ধার (১৯৯২), উদ্বাস্তু (১৯৯৪), মধ্যরাতের প্রতিধ্বনি (২০০১), অন্ধকারে মৃত্যুর উৎসব (২০০৬), মুহূর্তের কবিতা (২০০৬), সৌর-রামায়ণ (২০১১), কবর খুঁড়ছে ইমাম (২০১১), প্রেমপদাবলি (২০১১), পুরনো দিনের ঘাসফুল (২০১২) তার উল্লেখযোগ্য কবিতার বই।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান অসীম সাহা। ২০১৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।