সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় হবে ঈদের প্রধান জামাত।
Published : 29 Mar 2025, 12:45 PM
একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় হবে ঈদের প্রধান জামাত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
তবে আবহাওয়া বৈরি হলে সেক্ষেত্রে ঈদগাহের বদলে আধাঘণ্টা দেরিতে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি করপোরেশন।
শনিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
তিনি বলেন, “পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতের সকল প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।
“আমরা আশা করছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় দুইজন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজে অংশ গ্রহণ করবেন।এটি আমাদের ঈদ আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে। আমি সকল ধর্মপ্রাণ এবং ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানাব, আপনারা ঈদের দিনে এই ঈদগাহে ঈদের জামাতে শরিক হবেন এবং ঈদের নামাজ আদায় করবেন।”
‘৩৫ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন’
সার্বিক প্রস্তুতির তথ্য তুলে ধরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এই আয়োজন পরিচালনা করছে যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারেন।”
“এই ঈদগাহে যাতে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন সেরকম প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। ভিভিআইপি গ্যালারিতে ২৫০ জনের মতো নামাজ আদায় করতে পারবেন।“
ঈদগাহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসক।
তিনি বলেছেন, ভিভিআইপির নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স-এসএসএফের সদস্যরা কাজ করছেন।
জায়নামাজ নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই জানিয়েছে তিনি বলেন, “যেহেতু নামাজ আদায়ের জন্য আরামদায়ক কাপের্ট বিছানো হয়েছে কাজেই কাউকে জায়নামাজ এখানে নিয়ে আসতে হবে না।
এছাড়া নামাজ পড়তে আসা মানুষদের জন্য সুপেয় পানিরও ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
‘মনোরম সাজে জাতীয় ঈদগাহ’
জাতীয় ঈদগাহের প্রধান ফটকের সামনে নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে তোরণ। সেখানে লেখা রয়েছে ‘ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। ঈদ মোবারক’।
ঈদগাহ প্রাঙ্গণে রয়েছে অজুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওজুর জন্য সারি সারি পানির ট্যাপগুলো নতুনভাবে লাগানো হয়েছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঈদগাহের মাঠ প্রায় পুরোটাই ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্যান্ডেলের নিচে মাঠে ম্যাট বিছানো। এছাড়াও রয়েছে সিলিং ফ্যান, লাইট ও মাইকের ব্যবস্থা।
জাতীয় ঈদগাহে পুলিশ ও র্যাবের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ফায়ার ব্রিগেডের একটি টিমও জাতীয় ঈদগাহের কাছে থাকবে।
প্রশাসক জানিয়েছেন চিকিৎসা সেবা দিতে দুইটি মেডিকেল টিম ঈদগাহে প্রস্তুত থাকবে।
ঈদগাহে মূল প্রবেশ পথ করা হয়েছে দুইটি।ভিভিআইপিদের প্রবেশের জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন দিয়ে আলাদা একটি গেইট করা হয়েছে।
এছাড়া নারীদের নামাজের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করার পাশাপাশি, তাদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ করা হয়েছে।