এ সময় সেনাসদর ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
Published : 22 Aug 2024, 11:51 PM
ঢাকা সেনানিবাসে গিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন কয়েকজন শীর্ষ ব্যবসায়ী ।
বৃহস্পতিবার আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এই আয়োজন হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
এ সময় সেনাসদর ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, সংগঠনের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন ও মো. জসিম উদ্দিন, আইসিসিবি সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার এ কে আজাদ, স্কয়ার গ্রুপের তপন চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন আশরাফ আহমেদ, খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং নাসের এজাজ বিজয়।
সভার শুরুতেই সেনাবাহিনী প্রধান দেশের অর্থনীতিতে ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা বিধানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরেন।
আইএসপিআর লিখেছে, “সেনাবাহিনী প্রধান শিল্পকারখানা চালু রাখার ব্যাপারে সেনাবাহিনী কর্তৃক নিরাপত্তা সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সকলকে আশ্বস্ত করেন।”
মাহবুবুল আলম ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সময়োচিত ভূমিকা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্পকারখানায় উৎপাদন অক্ষুণ্ন রাখাসহ আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করায় সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, শিল্পকারখানার নিরাপত্তা প্রদান, বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন, অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করা, আমদানি-রপ্তানিসহ নিরবচ্ছিন্ন পণ্য সরবরাহ ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করা, সব বন্দর ও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সকল মহাসড়কের নিরাপত্তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
শিল্পকারখানা ও মহাসড়কে চাঁদাবাজি রোধ, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও ব্যবসায়িক সংগঠনসমূহের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকিসমূহ নিরসনের ব্যবস্থা, অগ্নি-সংযোগের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া কল-কারখানাগুলো আবার চালু এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কর্মীদের নিরাপত্তার গুরুত্বও তুলে ধরেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে গত ৯ আগস্ট শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর শিল্পাঞ্চল নিরাপত্তা সেল গঠন করা হয়।
শিল্পাঞ্চল নিরাপত্তা সেলের তত্ত্বাবধানে শিল্প পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সহায়তায় সাময়িক বন্ধ থাকা কারখানাগুলো অতি দ্রুত চালু হয় এবং আস্থার ও নিরাপদ পরিবেশের সৃষ্টি হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।
শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তাকল্পে এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।