বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল বাকী ও কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে চুক্তির সময় খসড়া তালিকার সদস্য এ কে এম আনোয়ার ইসলাম বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দেন।
Published : 04 Apr 2024, 07:42 PM
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সতের বছর আগে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় আরো দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান তাদের সাক্ষ্য নিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ মে দিন ঠিক করেন।
আদালতে এদিন সাক্ষ্য দেন জব্দতালিকার সাক্ষী বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল বাকী এবং কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে চুক্তির সময় খসড়া তালিকার সদস্য এ কে এম আনোয়ার ইসলাম।
মামলার আসামি এমএএইচ সেলিমের আইনজীবী জাকারিয়া হায়দার জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দুজনকে জেরা করেন। বৃহস্পতিবার আনোয়ারের জেরা শেষ হলেও আব্দুল বাকীর জেরা শেষ হয়নি।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
সতের বছর আগে করা আলোচিত এ মামলায় এর আগে গত ৪ মার্চ সাক্ষ্য দেন আব্দুল বাকীসহ বাপেক্সের উপমহাব্যবস্থাপক মিরাজুল ইসলাম। সেদিন বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ এপ্রিল দিন রেখেছিলেন।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়, তাতে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
এরপর গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন-সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এদের মধ্যে তিন জন পলাতক।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন-