পিবিআই গত ২৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Published : 30 Dec 2024, 05:16 PM
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল (এম এ জলিল), তার স্ত্রী জাহানারা বেগম বর্ষাসহ ছয়জনকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছে আদালত।
এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) করা তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সানাউল্ল্যাহ সমন জারির আদেশ দেন।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পণ্ডিত গত ২৩ নভেম্বর প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করেন। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ হোসেন বলেন, “আদালত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে সমন ইস্যু করেছে।”
২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ছয়জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলার আবেদন করেন শাফিল নেওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী।
পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এই মামলায় অনন্ত জলিল, তার স্ত্রী, অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি, কোম্পানির কর্মী মো. শরীফ হোসাইন, সাকিবুল ইসলাম, মিলন ও শহিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজিব মাহমুদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পিবিআই। ঢাকার বিজ্ঞ আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে অনন্ত জলিলসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেছে।”
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্ট সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য ক্রয়াদেশ দেন। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন ও এলসির মাধ্যমে টাকা দিবেন বলে জানান এবং আরও বেশ কিছু নতুন কাজ দেন।
মামলায় বলা হয়েছে, “এ বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সব কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। এরপর গত ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর একটি এলসি করেন। পরবর্তী সময়ে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন।
“বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানি এখন পর্যন্ত এক টাকাও (প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলার পাওনা) পরিশোধ করেনি।”
পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবাদীরা বাদীকে এলসি দিলেও এবং বাদীর কাছ থেকে পণ্য বুঝে নেওয়ার পরও ‘প্রতারণামূলক উপায়ে’ ব্যাংকে মিথ্যা তথ্য ও নির্দেশনা দিয়ে বেআইনিভাবে বাদীর পাওনা আটকে রাখেন।
বিবাদীরা ২৯ হাজার ২৯৯ ডলার পরিশোধ না করে ‘বিশ্বাসভঙ্গ করায়’ ৪০৬/৪২০ ধারায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্য।
এ বিষয়ে অনন্ত জলিল বা অন্যদের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।