"সরকার সবার স্বার্থকে নিশ্চিত করতে পারলে কোনো পক্ষেরই সমস্যা হওয়ার কথা না,” বলেন একজন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতা।
Published : 22 Apr 2025, 01:53 AM
দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক আট কোটি শ্রমিকের স্বীকৃতি ও আইনি সুরক্ষায় যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তেমনি নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত আর কাজের অধিকার ও সুযোগ তৈরি এবং মজুরি-ন্যায্য হিস্যার সুপারিশ এসেছে শ্রম সংস্কার কমিশন থেকে।
শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রেও সংস্কারের প্রস্তাব করে ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতে জাতীয় মজুরি কমিশন গঠন করতেও বলেছে কমিশন।
সেই সঙ্গে শ্রম অসন্তোষ দূর করতে রপ্তানি খাতের শিল্পের শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন পরিশোধ করার মত অর্থ নিয়ে একটি তহবিল গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে।
রিকশাওয়ালা, দিন মজুর, জেলে, হকার, গৃহকর্মী বা আয়াদের পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকদেরও আইনি স্বীকৃতি দিতে চায় কমিশন।
এসব সুপারিশ সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করলে দেশের শ্রম পরিবেশ উন্নত হবে বলে মনে করছেন অংশীজনদের একজন।
তবে এক্ষেত্রে সরকারকে শ্রমিক-মালিক সবার স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ তার।
এগুলোর চেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে, প্রয়োজনে নতুন আইন তৈরি করতে অন্তবর্তীকালীন সরকার কতটুকু সময় পাবে।
দুইশ’র বেশি শ্রেণির শ্রমিক, ছোটো ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ৪৫৮ পৃষ্টার প্রতিবেদন সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে শ্রম সংস্কার কমিশন।
‘শ্রম জগতের রূপান্তর-রূপরেখা; শ্রমিকের অধিকার, সুসমন্বিত শিল্প সম্পর্ক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে শ্রমিকের অধিকার, আইনি সুরক্ষা ও ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করতে মোটা দাগে চারটি ভাগে ২৫টি মৌলিক সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।
এতে গুরুত্ব পেয়েছে শ্রমিকের কাজ ও পেশার স্বীকৃতি, কাজের অধিকার, সুযোগ, দক্ষতা, স্থায়িত্ব ও নিশ্চয়তা, মজুরি ও ন্যায্য হিস্যা, নিরাপদ-স্বাস্থ্যসম্মত কর্ম পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ সংগঠনের অধিকার, অংশগ্রহণ, প্রতিনিধিত্ব ও যৌথ দরকষাকষি, শিল্প অসন্তোষ ও বিরোধ নিষ্পত্তি, ন্যায় বিচার, সমতা, বৈষম্য ও অন্তভূক্তি, শিশু শ্রম, কিশোর শ্রমিক ও জবরদস্তিমূলক শ্রম।
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে ১১টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে শ্রম বিষয়ক এ কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয় দেশে আট কোটি শ্রমিক রয়েছেন, যাদের ৯৫ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক।
এবারই প্রথম সব খাতের শ্রমজীবী মানুষকে সার্বজনীন আইনের আওতায় আনা ও তাদের স্বীকৃতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন তুলে ধরেছে।
সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ফতুল্লা অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে শামীম এহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত যত শ্রম আইন ও বিধিমালা হয়েছে, তাতে সেবা খাতের শ্রমিকদের বিষয়ে কিছুই ছিল না। এই প্রথম সব শ্রমিকের স্বীকৃতি ও আইনি সুরক্ষা দিতে বলা হয়েছে।
‘‘প্রস্তাবনা তৈরিতে উদ্যোক্তা, শ্রমিক, একাডেমিশিয়ান, সাংবাদিক ও আইনজীবীরা একমত হয়ে সব প্রস্তাব দিতে পেরেছি, যেটা আমাদের কাছেও স্বস্তিদায়ক মনে হয়েছে। শ্রমিক ইস্যুতে ১০ জন বসলে একমতে পৌঁছানো সম্ভব হয় না বেশির ভাগ সময়ে। দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের শ্রম বাজারে নিয়ে কাজ করার জন্য একটি গাইডলাইন হতে পারবে আমাদের প্রস্তাবনা।’’
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮ জন সদস্য নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর গঠন করা হয় ‘শ্রম সংস্কার কমিশন’।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিআইএলএস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে গঠন করা কমিশনে শিল্প উদ্যোক্তা সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, মেট্টোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআিই) সভাপতি কামরান টি রহমানসহ শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
সংস্কার প্রস্তাবের পুরোটা বাস্তবায়ন করার মত সময় পাবে না অন্তর্বর্তী সরকার বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করা জোনায়েদ সাকি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়নে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে সর্বসম্মতি আছে এমন বিষয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। জুলাই সনদ ঘোষণা করে প্রশাসনিক আদেশ দিতে পারে। তা পরের সরকার মেনে নিয়ে আইনি দিকগুলো দেখবে। কিন্তু আইন করতে হলে তো সংসদ লাগবে।
‘‘সব প্রস্তাব তো একসঙ্গে বাস্তবায়ন করা সম্ভবও না।”
শ্রমিকদের সুবিধা বাড়ানো ও স্থায়ী মজুরী কমিশন গঠনের বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতা বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘আমরা স্বাগত জানাই কমিশনের সুপারিশকে। বাস্তবায়নের সময়ে সকল অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করলে দেশের শ্রম পরিবেশ উন্নত হবে। সরকার সবার স্বার্থকে নিশ্চিত করতে পারলে কোনো পক্ষেরই সমস্যা হওয়ার কথা না।’’
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে প্রথম সভা
সংস্কার কমিশন সর্বপ্রথম মতবিনিময় করে রাজধানীর সিটি করপোরেশন ও বেসরকারি খাতে নিয়োজিত সুইপারদের সঙ্গে। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কমিশনের সদস্য এমসিসিআইয়ের সভাপতি কামরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘মোট দুইশটার বেশি গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রথম আমরা কথা বলেছি, ঢাকা শহরের সুইপারদের সঙ্গে। তারা ক্লিনার নামে পরিচিত। এর আগে কখনো তাদের মতামত নিয়ে মনে হয় কাজ করেনি। জানলাম, তাদেরও সমস্যা অনেক।”
সব শ্রেণির শ্রমিকদের জন্য এই সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘এটা তো একটি দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গাইডলাইন। একদিনে তো বাস্তবায়ন সম্ভব না। আমরা তো একটি সুন্দর প্রস্তাবনা দিয়েছি।
‘‘কাউন্সিল (উপদেষ্টা পরিষদ) এখন দেখবে, কোন কোনটি বাস্তবায়ন করা যায়। কিছু কিছু জিনিস এখন হবে, আবার কিছু কিছুর জন্য সময় লাগবে। যাচাই-বাছাই হবে, বিতর্ক হবে। তারপর হয়ত কিছু আইন তৈরির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।’’
আইনি সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা গুরুত্ব দিয়েছি শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। আট কোটি শ্রমিক রয়েছে আমাদের। এর মধ্যে বলা যায় ৯৫ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক- ইনফরম্যাল সেক্টর। রিকশাওয়ালা, দিন মজুর, মাছ ধরার জেলে, হকার, গৃহকর্মী বা আয়াদের আইনি সুরক্ষা দিতে চাই। প্রবাসী শ্রমিকদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছি।
‘‘আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে আস্তে আস্তে বাস্তবায়ন হবে। শ্রমিকদের তো আইনি সুরক্ষা নেই। আনুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ কলকারখানার শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা কিছুটা আছে। তা আরো সুসংহত করার কথা বলেছি।”
জাতীয় ন্যূনতম মজুরি কাঠামো, ট্রেড ইউনিয়ন করার নিয়মকানুন শিথিলকরণ, শ্রমিকদের তথ্যভান্ডার, কর্মক্ষেত্রে আহত ও নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের নতুন মানদণ্ড প্রণয়ন, নারী শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে শ্রম সংস্কার কমিশন।
পাঁচ মাস ধরে সারাদেশে শ্রমিক, উদ্যোক্তা, ছোটো ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ৪৫৮ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন তারা দিয়েছেন। চারটি ভাগে দেওয়া প্রতিবেদনে ২৫টি মৌলিক সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।
বেতন দিতে তহবিল গঠনের প্রস্তাব
সোমবার প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
রাজধানীর বিজয়নগরের শ্রম ভবনে ১২ সদস্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘বেশিরভাগ শ্রমিকের স্বীকৃতি নেই। এজন্য আমরা সার্বজনীন শ্রমিক অধিকারের কথা বলেছি। সব খাতের শ্রমিকের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।’’
শ্রম অসন্তোষ ঠেকাতে যথাসময়ে মজুরি পরিশোধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলম্বে কারখানা উদ্যোক্তাদের দৈনিক জরিমানা করা যেতে পারেও বলে প্রতিবেদন দিয়েছে সংস্কার কমিশন।
শ্রম সংস্কার কমিশন: জাতীয়ভাবে ন্যূনতম মজুরি, বেতন দিতে তহবিল গঠনের সুপারিশ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জরুরি পরিস্থিতি, রপ্তানি আয় যথাসময়ে দেশে আসতে না পারলে ও কারখানা বন্ধ হলে নির্দিষ্ট সময়ে শ্রমিক মজুরি পরিশোধ করতে এ তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেছে কমিশন।
শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের দুই মাসের বেতনের সম পরিমাণ অর্থ এ তহবিলে জমা রাখবেন উদ্যোক্তরা। তহবিলটি উদ্যোক্তা, শ্রম অধিদপ্তর ও সরকারের প্রতিনিধি মিলে পরিচালিত হবে। কারাখানা উদ্যোক্তা বা প্রয়োজনে সরকার চাইলে এ তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে মজুরি পরিশোধ করতে পারবে।
সব খাতের শ্রমিকদের পরিচয়পত্র ইস্যু করতে শ্রম আইন সার্বজনীন করার প্রস্তাব করা হয়। সেখানে সারাদেশের শ্রমিকদের নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার গড়ার কথা বলেছে কমিশন।
সুলতান উদ্দিন বলেন, ‘‘সেবা খাতে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে স্ব-উদ্যোগে নিয়োজিতরা তথ্যভান্ডারের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করবে। এই নিবন্ধনই তার শ্রমিক হিসেবে পরিচয়পত্র হবে।’’
মৎস্যজীবী, রিকশাওয়ালা, দিন মজুর, কৃষি শ্রমিক ও হকারের মত স্বাধীন শ্রমজীবীদের এভাবে নিবন্ধন করে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করছে কমিশন।
শ্রম আইনে ‘মহিলা’ শব্দের বদলে ‘নারী’ শব্দ ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে কমিশন।
যেসব সুপারিশে জোর কমিশনের
>> সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা ও স্বীকৃতি। এর মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক, কৃষি, গৃহভিত্তিক, অভিবাসী, স্বনিয়োজিত শ্রমিকসহ সবার শ্রম আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত
>> নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত
>> শ্রমিকসহ শ্রমশক্তি নিবন্ধন ও তথ্যভাণ্ডার গঠন
>> সংগঠন, দর কষাকষির অধিকার
>> জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও তথ্য প্রাপ্তির অধিকার
>> স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠন
>> কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ
>> সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত
>> সম অধিকার নিশ্চিত, সহিংসতা ও বৈষম্য দূরীকরণ
>> যৌন হয়রানিসহ সব ধরনের হয়রানি ও সহিংসতা প্রতিরোধ
>> সার্বজনীন মাতৃকালীন সুরক্ষা
>> শিশু-কিশোর ও জবরদস্তিমূলক শ্রম বন্ধ ও নিরাপত্তা
>> সুসমন্বিত শিল্প সম্পর্ক ও সামাজিক সংলাপ চর্চা
>> সুষ্ঠু শ্রম আদালত, ন্যায়বিচার ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা
>> মর্যাদাপূর্ণ-হয়রানিমূলক কর্মপরিবেশ ও আদালতে বাংলাভাষা প্রচলন
>> সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রতিনিধিত্বে নারী-পুরুষ শ্রমিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত
>> আপদকালীন তহবিল গড়ে তোলা ও বিদ্যমান তহবিলের স্বচ্ছতা
>> শ্রমিক ইতিহাস-ঐতিহাসিক স্থান সুরক্ষা ও স্মৃতিসৌধ গঠন
>> শহীদ স্বীকৃতি, পুনর্বাসন, চিকিৎসা ও ন্যায়বিচার
>> টেকসই শিল্পায়ন, উৎপাদনশীলতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন
>> শিল্পাঞ্চল ও শ্রমঘন এলাকায় নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত
>> জলবায়ু ও বৈশ্বিক উষ্ণয়ান বিবেচনায় কর্মপরিবেশ
>> অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত
>> শ্রমবিষয়ক গবেষণা ও জরিপ প্রকাশ