কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আব্দুল আহাদ, রিয়া গোপ, সাফকাত সামির ও নাইমা আক্তার সুলতানার মৃত্যু হয়।
Published : 31 Jul 2024, 02:17 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত চার শিশুর পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট আবেদন করেছেন আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার।
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর বুধবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।
সেখানে প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা এবং তাদের নিহতের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকার এক বাড়িতে আব্দুল আহাদ নামের ৪ বছর বয়সী এক শিশুর চোখে গুলি লাগে। সে সময় সে বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল।
আহাদের বাবা আবুল হাসান আয়কর বিভাগের উচ্চমান সহকারী। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়।
ওই দিনই নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটি এলাকায় বাসার ছাদে খেলার সময় ছয় বছর বয়সী রিয়া গোপের মাথায় গুলি লাগে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সেদিন মিরপুর ১৪ নম্বরের হাউজিং স্টাফ কোয়ার্টারে বাসার বেডরুমে জানালার পাশে টেবিলে বসে পড়ালেখা করার সময় গুলিবিদ্ধ হয় ১১ বছর বয়সী সাফকাত সামির। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত্ ঘোষণা করেন।
আর রাজধানীর উত্তরায় চারতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিতে নিহত হয় ১৫ বছর বয়সী নাইমা আক্তার সুলতানা।