“ছুটির ভেতর কোনো শিক্ষকের তিন দিন পরীক্ষার দায়িত্ব থাকলে তিনি ওই তিন দিনের ছুটি পরে পাবেন; পুরো ছুটি পরে পাবেন এমনটি নয়,” বলেন উপসচিব রোখসানা বেগম।
Published : 18 Nov 2024, 10:50 PM
শীতকালীন ছুটির মধ্যে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা পড়ায় পরীক্ষার দিন যেসব শিক্ষক দায়িত্ব পালন করবেন, তারা সেই দিনের ছুটি পরে কাটাতে পারবেন।
আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর হবে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা। আর কলেজগুলোতে শীতকালীন ছুটি ঘোষণা রয়েছে ১৭ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর।
সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ শাখা এক আদেশে বলেছে, ছুটির মধ্যে পরীক্ষার দিনগুলোতে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষকরা ওই দিনগুলোর ছুটি পরে কাটানোর সুযোগ পাবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছা. রোখসানা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছুটি চলার সময় যেসব দিন পরীক্ষা রয়েছে, ওই দিনগুলোর ছুটি শুধু পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা পরে নিতে পারবেন। এমন অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
“ছুটির ভেতর কোনো শিক্ষকের তিন দিন পরীক্ষার দায়িত্ব থাকলে তিনি ওই তিন দিনের ছুটি পরে পাবেন। পুরো ছুটি পরে পাবেন এমনটি নয়। শীতকালীন ছুটি চলাকালীন শুধু পরীক্ষার দায়িত্ব থাকার দিনগুলোর জন্য ছুটি পাবেন শিক্ষকরা।”
সরকারি-বেসরকারি যে কলেজগুলো ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত, ওই কলেজগুলোর শিক্ষকরা এ সুযোগ পাবেন বলে জানান উপসচিব রোখসানা বেগম।
তিনি বলেন, “চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা শেষ করতে চাচ্ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের পরে ছুটি নেওয়ার সুযোগটি দেওয়া হয়েছে।”
প্রথমে ১৫ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ‘সেশনজটের কারণে তিন বছরের ডিগ্রি ছয় বছরে রূপান্তর করা এবং অটোপাসের দাবিতে’ অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এরপর ২৫ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার সময় নির্ধারণ করে সংশোধিত সূচি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে গত ১৬ নভেম্বর ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সব বিষয়ের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই বর্ষের যে বিষয়ের পরীক্ষা তিন ঘণ্টা হওয়ার কথা ছিল, সেটি এখন সাড়ে তিন ঘণ্টা হবে; আর যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা সাড়ে তিন ঘণ্টা হওয়ার কথা ছিল, সেটি এখন চার ঘণ্টা হবে। প্রশ্নপত্রে যে সময়ই থাকুক, ৩০ মিনিট করে সময় বাড়বে।