কয়েকজন বিদেশি পর্যবেক্ষক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
Published : 04 Jul 2024, 01:41 PM
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের দণ্ড পাওয়া নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কাকরাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেন।
ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও শাহজাহান। এছাড়া কয়েকজন বিদেশি পর্যবেক্ষক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা ওই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।
আপিলের শর্তে ওই দিন তাদের ১ মাসের জামিন দেন বিচারক। এরপর ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং ৩ মার্চ পর্যন্ত তাদের জামিন দেয়।
এরপর তৃতীয় দফায় ১৬ এপ্রিল এবং চতুর্থ দফায় ৪ জুলাই পর্যন্ত তাদের জামিন দিয়েছিল শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। সেই মেয়াদ শেষে নতুন করে জামিন চাইতে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হন ইউনূস চারজন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।