এই তরুণের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
Published : 09 Sep 2024, 11:08 AM
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাত আড়াইটার পরপর ২১ বছর বয়সী খায়রুল ইসলাম মারা যান বলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এই তরুণ বার্ন ইন্সটিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন, এবং তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
দুদিন আগের ওই দুর্ঘটনায় এ নিয়ে দুজন মারা গেলেন। এর আগে গুরুতর অবস্থায় দগ্ধ আট জনকে ঢাকায় আনার পথে শনিবার রাতে আহমদ উল্লাহ নামে একজন মারা যান।
এখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা মো. জাহাঙ্গীর আলমের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া আবুল কাশেমের ৭০ শতাংশ, বরকাতুল্লাহর ৬০ শতাংশ, আল-আমিনের ৮০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের ২৫ শতাংশ এবং হাবিব নামে একজনের শরীরের ৪৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে।
হাসপাতালে থাকা ছয়জনের অবস্থাই ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসক তারিকুল। শিশুদের শরীরের ১০ শতাংশের বেশি এবং বয়স্কদের ১৫ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলেই তাদের জীবনের ঝুঁকি থাকে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকার এস এন করপোরেশনে একটি জাহাজের পাম্প হাউজে কাজ করার সময় বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়। তাতে ১২ জন দগ্ধ হন।
এরপর তাদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পরে আটজনকে মালিকপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।