“ঈদের পরে অভিযান পরিচালনা করব। যেসব দোকানদার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করবে, তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ও দোকান সিলগালা করে দেব,” বলেন ডিএনসিসির প্রশাসক।
Published : 16 Mar 2025, 12:10 AM
ফুটপাত দখল করে ব্যবসার কার্যক্রম চালালে লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
তিনি বলেছেন, “অনেক গ্যারেজ মালিক ফুটপাত ও রাস্তা ব্যবহার করে মোটরসাইকেল ও গাড়ি ওয়াশ করছে। অনেকে দোকানের সীমানার বাইরে গিয়ে ফুটপাত ব্যবহার করে ব্যবসা করছে। তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি আপনারা ফুটপাত দখলমুক্ত করে দিন।
“ঈদের পরে আমরা অভিযান পরিচালনা করব। যেসব দোকানদার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করবে, তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেব, দোকান সিলগালা করে দেব।”
শনিবার রাজধানীর মিরপুর ৬০ ফিট রাস্তার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করার ব্যাপারে কথা বলেন তিনি।
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, “ডিএনসিসি এলাকার দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার একটি মিরপুর ৬০ফিট রাস্তা এবং আরেকটি মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরা-দিয়াবাড়ি রাস্তা। অব্যবস্থাপনার কারণে দীর্ঘদিন এই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বেশিরভাগ বড় বড় রাস্তায় চললে মনে হত আমরা কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত রাস্তায় চলছি। একমাস আগেও এই দুটি রাস্তা যারা ব্যবহার করেছেন, তারা অনেক কষ্ট করেছেন। এই দুটি রাস্তায় চলাচল করে অনেকে অসুস্থ হয়েছেন, ব্যথা পেয়েছেন, অনেকের গাড়ি ভেঙেছে।
“আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে পুরো টিমকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাস্তা দুটি রোজার মধ্যেই সংস্কার করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেব। ইতোমধ্যে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ঈদের আগেই ৬০ ফিটের রাস্তার কাজ শেষ করে জনগণের চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হবে৷”
কাজ করতে সমস্যায় পড়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “৬০ ফিট রাস্তার আটটি পয়েন্টে রাস্তার পাশে বাড়ির মালিক আমাদের ফুটপাত করতে দিচ্ছে না। আমাদের কর্মীদের কনস্ট্রাকশন করতে দিচ্ছে না। কোর্টের রায়ের ভয় দেখাচ্ছেন। কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না। অবৈধভাবে দোকান দিয়ে রেখেছে, ময়লা ফেলে রেখেছে।
“আমরা জনগণকে চলাচলের সুবিধা দিতে চাই, কিন্তু কেউ যদি সরকারি কাজে বেআইনিভাবে বাধা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কাজে, সিটি করপোরেশনের কাজে যারা বাধা দিচ্ছে, আমরা তাদের বাড়ির প্রকৃতি যাচাই করছি। তারা অবৈধভাবে আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করছে। গত বিশ বছর ধরে বাণিজ্যিক হারে ট্যাক্স দিয়েছে কিনা সেটা ধরব। তাদের প্ল্যান তলব করব, রিভিউ করে দেখব অনুমতি নেওয়া আছে কিনা। প্ল্যানের বাইরে অবৈধ বিল্ডিং আমরা ভেঙে দেব। আমরা কোনো ধরনের ছাড় দেব না।”
সাংবাদিকের এক প্রশ্নে ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, “পহেলা বৈশাখের আগে ডিএনসিসি এলাকায় যত রাস্তা কাটা ও কাজ চলছে সেগুলো সম্পন্ন করা হবে। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল অনেক কম। রাতেও আমাদের কর্মীরা কাজ করছে।কারণ আমরা বসে থাকার জন্য আসিনি, পরিবর্তন আনার জন্য এসেছি।”
৬০ ফিট রাস্তার কাজ পরিদর্শন করে শেওড়াপাড়া আনন্দবাজার বগার মার খাল পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক। পরে রূপনগর দুয়ারীপাড়া খাল পরিদর্শন করেন এবং উত্তর পল্লবী বাড়ি ও ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।