এর আগে কার্ড রেজিস্ট্রেশন ও পুনরায় ইস্যুর কার্যক্রম এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
Published : 03 Nov 2024, 09:21 PM
মেট্রোরেলে ভ্রমণের ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পাস কার্ডের জন্য নিবন্ধন ও পুনরায় ইস্যু এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার কথা থাকলেও দুদিন পরই ফের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার থেকে এমআরটি পাসের নবায়ন ও নিবন্ধন শুরু হয়েছে।
“দেশে এক সপ্তাহ আগে ২০ হাজার কার্ড এসেছে। আমরা হাতে পেয়েছি আজকে, কালকে থেকে স্টেশনে যোগ হয়ে যাবে।”
এমআরটি পাস কার্ডের জন্য নিবন্ধন ও পুনরায় ইস্যুর কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি ডিএমটিসিএল তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেইজেও জানিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে’ কার্ড রেজিস্ট্রেশন এবং পুনরায় ইস্যুর কার্যক্রম এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে বলে জানায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। যদিও ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেছিলেন ঠিক এক সপ্তাহ নাও লাগতে পারে। এর দুদিন পরই ফের নিবন্ধন ও পুনরায় ইস্যুর কাজ শুরু হল।
বর্তমানে মেট্রোরেল শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করছে। আর শুক্রবারে চলছে দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত।
মেট্রোরেলে যাতায়াতে যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকেট রয়েছে। একটি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের এমআরটি পাস, অপরটি একক যাত্রার টিকেট।
এমআরটি পাস কিনে শুধু রিচার্জ করে যাত্রীরা ট্রেনে চড়তে পারেন। যতক্ষণ কার্ডে টাকা থাকে ততক্ষণ ট্রেনে চড়া যায়। সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা রিচার্জের সুযোগ আছে।
এভাবে কার্ড করে চলাচলে ১০ শতাংশ ছাড়ও মেলে। এই কার্ড পাঞ্চ করে স্টেশন থেকে বের হতে হয়। পাঞ্চ মেশিনেই ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হয়।
আর একক যাত্রার টিকেট কেটে গন্তব্যে যাওয়া যায়। এই টিকেট মেশিনে ঢুকিয়ে বের হতে হয়। টিকেট মেশিনে দিলেই শুধু স্টেশন থেকে বের হওয়ার সুযোগ থাকে।
পুরনো খবর-