“বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা অনেক,” বলেন বিআইপির সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান।
Published : 20 Mar 2025, 08:17 PM
জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানিই বাসযোগ্য শহরের নিশ্চয়তা দিতে পারে, সে কারণে সাধ্যমত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স, বিআইপি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ‘রোল অব রিনিউবেল এনার্জি ফর আ লিভ্যাবল সিটি’ শীর্ষক নীতি সংলাপে বিশেষজ্ঞরা এই অভিমত তুলে ধরেন।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি), বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) ও জেট নেট বিডি যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপ সঞ্চালনা করেন বিআইপির সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান।
সেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।
স্টেট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের প্রধান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধে আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে দ্রুতগতিতে শিল্পায়ন ও নগরায়ণ বাড়তে থাকায় জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা বেশি।
“এটি দেশের বর্তমান বায়ুমান পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে যা ক্রমশই আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। আইকিউএয়ার ২০২৪ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধান শহর রাজধানী ঢাকা বায়ু দূষণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সবসময়ই নিম্নমানের থাকে।”
মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, সাধ্যমত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে, এটাই প্রথম কথা।
“এটি শুধু সরকার বা সরকারি সংস্থা বা কেবলমাত্র নীতিমালার বিষয় নয়। এটি সচেতন সংস্কৃতির বিষয় তা প্রত্যেকটি নাগরিকের দায়িত্ব যা স্বভাবে পরিণত হবে।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৃষ্ট বায়ু দূষণ বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
“তবে, সঠিক নীতি গ্রহণ ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, “বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা অনেক। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিবহন ও শিল্পখাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে একটি সুস্থ ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। শুধুমাত্র বর্তমান প্রজন্মের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।”
সংলাপে বক্তব্য রাখেন- ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশেদুজ্জামান মজুমদার, ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ, সেন্টার ফর ল অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্সের সেক্রেটারি সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বারসিকের সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম।