আগামী ১৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অপারেশনাল হল্ট কর্মসূচি পালনের ঘোষণা।
Published : 13 Mar 2025, 01:41 PM
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঢাকার বাইরে সারাদেশে একই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তাতে এনআইডিসহ সব ধরনের সেবাদান বন্ধ থাকে।
আগারগাঁওয়ের কর্মসূচি থেকে ‘এক দুই তিন চার, এনআইডির পিছু ছাড়’; ‘ভোট চুরির ধান্ধা বন্ধ কর, এনআইডির পিছু ছাড়’; ‘ভোটার তাকিকা ও এনআইডি একসূত্রে গাঁথা, বিভক্তি মানি না’; ‘এনআইডি রাজনৈতিক হাতিয়ার নয়, এটি ইসির অধিকার’; ‘ইসির অধীনে এনআইডি, জনগণের নিরাপত্তার গ্যারান্টি’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়। এসব স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা গেছে।
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, “মঙ্গলবারের মধ্যে আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেলে বুধবার ৩ ঘণ্টা ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি পালন করা হবে।"
আগামী ১৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অপারেশনাল হল্ট কর্মসূচির সময় এনআইডি সেবা বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ দুপুরে বলেন, “আমাদের অবস্থান হচ্ছে অতীতের মতো এখনো বলছি যে- এনআইডি কার্যক্রমটা ইসির অধীনে থাকতে হবে বা থাকা উচিত।
“এখন বাইরে যদি কোনো বিষয় ঘটে থাকে, তবে আমার কাছে বাড়তি তথ্য দেওয়ার কিছু নেই।”
নিজেদের অবস্থানের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “এই কারণে থাকা উচিত যে- এটা ২০০৭ সালে গড়ে উঠেছে আমাদের কাছে। আমাদের কারিগরি দক্ষতা আছে, আমরা এখান থেকে কাম্য সেবা দিচ্ছি।”
ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচির বিষয়ে সচিব আখতার বলেন, “এনআইডি এখনও যায়নি, কাজেই ভোটে প্রভাব পড়বে কি না- সেটা এখনও প্রাসঙ্গিক নয়। এটি ইসির অধীনেই থাকবে, এটাই ইসির মনোভাব।”