উত্তরায় আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতি অমর করে রাখতে এই উদ্যোগ, বলেছেন আয়োজকরা।
Published : 07 Dec 2024, 11:33 PM
জুলাই-অগাস্টের গণআন্দোলনে রাজধানীর উত্তরায় নিহত ৪৬ জনের ছবিসহ নামের তালিকা উত্তরার ‘শহীদ মুগ্ধ মঞ্চে’ স্থাপন করেছে ‘চব্বিশের উত্তরা’ নামের একটি সংগঠন।
শনিবার সংগঠনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, উত্তরায় আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মৃতি অমর করে রাখতে তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে।
‘চব্বিশের উত্তরা’র সংগঠক মনীষা মাফরুহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ আমরা ৪৬ জন শহীদের নাম ও ছবি স্থাপন করেছি।
“এছাড়া এর বাইরে আন্দোলনে আহত অন্তত ২০০ জনের পাশেও আমরা দাঁড়িয়েছি। তাদের বাজার করে দেওয়া, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাসহ সাধ্যমত পাশে দাঁড়িয়েছি।”
কীভাবে সংগঠনের যাত্রা শুরু হল, এ প্রশ্নে মনীষা বলেন, “এটা আসলে অভিভাবকদের একটি প্ল্যাটফর্ম। ১৮ জুলাই থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। পুরো আন্দোলনের সময়টাতে আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম।”
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার জের ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের খসড়া হিসাবে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ৭১৭। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির হিসাবে সারাদেশে মোট ১৫৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
‘চব্বিশের উত্তরার’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিদের ছবিসহ নামের তালিকা স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উত্তরায় নিহতদের ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের নাম যেন অমর থাকে, সেজন্য তাদের বীরের সম্মান দাবি করেন। সেই সঙ্গে হত্যার বিচার যেন হয়, আলোচনা থেকে সে দাবিও করা হয়।
এরপর নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- আন্দোলনে নিহত সামিতের বাবা ফরহাদ হোসেন, রাহাত হোসেনের মা স্বপ্না, সজীব সরকারের বাবা হালীম সরকার, জাহিদুজ্জামান, তানভীনের মা বিলকিস জামান, জাকারিয়া হোসেনের স্ত্রী পাপিয়া, জাবির হোসেনের বাবা কবির হোসেন, নাইমা সুলতানার মা আইনুন নাহার, রেদোয়ান শরীফ রিয়াদের বন্ধু আদিত্য।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘চব্বিশের উত্তরা’র সংগঠক সামিয়া রহমান ও সোহানা সাকী।