ব্যাংক লেনদেনের পাশপাশি তাদের নামে ব্যাংকের লকার, সঞ্চয়পত্র, ক্রেডিট কার্ডসহ অন্যান্য কোনো আর্থিক উপকরণ রয়েছে কি না, সেই তথ্যও বিএফআইইউকে জানাতে হবে।
Published : 30 Oct 2024, 12:58 PM
সংবাদপত্র, টেলিভিশন স্টেশন ও অনলাইন সংবাদপত্রে কাজ করা ২৮ জন সাংবাদিকের ব্যাংকে কত টাকা আছে, তারা কী পরিমাণ লেনদেন করেছেন সেসব তথ্য জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।
এই আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর, বিএফআইইউ সাংবাদিকদের হিসাবের তথ্য জানতে চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এই ২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক লেনদেনের পাশাপাশি তাদের নামে ব্যাংকের লকার, সঞ্চয়পত্র, ক্রেডিট কার্ডসহ অন্যান্য কোনো আর্থিক উপকরণ রয়েছে কী না সে তথ্যও বিএফআইইউকে জানাতে হবে।
২৮ সাংবাদিক হলেন- বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিবিসি নিউজের হেড অব নিউজ জায়েদুল হাসান পিন্টু, এবিনিউজ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী, এটিএন বাংলার জ ই মামুন, বাংলা ইনসাইডারের সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিটি এডিটর মির্জা মেহেদী তমাল ও চিফ রিপোর্টার জুলকারনাইন রনো, সমকালের সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বাসসের মধুসূদন মণ্ডল, ডিবিসির মাসুদ আইয়ুব কার্জন, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক ফরাজী আজমল হোসেন, বৈশাখী টিভির অশোক চৌধুরী, নিউজ টোয়েন্টিফোরের এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল রাহা, ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, নিউজ টোয়েন্টিফোরের ডেপুটি চিফ নিউজ এডিটর আশিকুর রহমান শ্রাবণ।
এছাড়া আরও আছেন যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি (সাবেক) আবদুল্লাহ আল মামুন, স্বদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন, ডিবিসি নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি আদিত্য আরাফাত, এটিএন নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি তাওহিদুল ইসলাম সৌরভ, যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক শ্যামল সরকার, দৈনিক ইত্তেফাকের নগর সম্পাদক আবুল খায়ের এবং দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রশাসক সন্তোষ শর্মা।