ঢাকার মিরপুর, জাতীয় প্রেস ক্লাব, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, শিল্পকলা একাডেমি, শাহবাগ, নীলক্ষেত এবং উত্তরা এলাকায় টহলরত বিজিবির কর্মকর্তারা তাদের টহল জোরদার করেছেন।
Published : 29 Jul 2024, 04:25 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হতাহতের প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচির দিন রাজধানীর শাহবাগ, উত্তরা, মিরপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে রাখতে দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এই বাহিনী সদস্যরা তৎপর আছেন।
সোমবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকার মিরপুর, জাতীয় প্রেস ক্লাব, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, শিল্পকলা একাডেমি, শাহবাগ, নীলক্ষেত এবং উত্তরা এলাকায় টহলরত বিজিবির কর্মকর্তারা তাদের টহল জোরদার করেছেন।এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের মূল দাবি পূরণ হওয়ায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর একাংশ তাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও, আরেক অংশের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ঢাকায় অন্তত ছয় জায়গায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছে আন্দোলনকারীরা।
দুপুরে রাজধানীর ইসিবি চত্বর, সায়েন্সল্যাব ও ধানমন্ডি ১ নম্বর রোড, ধানমণ্ডি ২ নম্বর রোড, নিউ মার্কেটের সামনে ও বাড্ডায় স্বল্প সময়ের জন্য বিক্ষোভকারীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। এসময় এসব এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সড়কে যানজট হয়।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জুনের শেষে হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা ফের মাঠে নামে। জুলাইয়ে তা সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন কর্মসূচিকে ঘিরে একপর্যায়ে তা সহিংসতায় গড়ায়।
এর মধ্যে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর, গাজীপুর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রথমে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ ফরিদপুর ও কক্সবাজারেও বিজিবি নামে।
শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ১৮ জুলাই সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরও আন্দোলনে দেখা যায়।
এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে দেশজুড়ে কারফিউ শুরু হয়, নামানো হয় সেনাবাহিনী। সরকার তিনদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে পুরো দেশ অচল হয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চালু হয়েছে অফিস-আদালত, শিল্প কারখানা।
এই আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা ১৪৭।