সম্পত্তির মধ্যে আছে ঢাকার গুলশান, বাড্ডা ও আদাবর, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও বান্দরবানে জমি ও বাড়ি।
Published : 27 Jun 2024, 11:24 PM
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জীশান মির্জার নামে থাকা আরও ৬টি ফ্ল্যাট, ৫টি প্লট, ২টি অফিস স্পেস ও বান্দরবানে ২৫ একর জমির ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম এই আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।”
যেসব সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ আনন্দ হাউজিং সোসাইটির ৬ কাঠার ৪টি প্লট, যাতে জমির পরিমাণ ২৪ কাঠা এবং এর ওপর তৈরি স্থাপনা, যা সাভানা ইকো রিসোর্ট প্রাইভেট লিমিটেরে নামে রেজিস্ট্রি করা; গুলশানে ৩ কাঠা জমির প্লট ও এর ওপর তৈরি স্থাপনা যা জীশান মির্জার মালিকানাধীন; বাড্ডায় রূপায়ণ মিলিনিয়াম স্কয়ারে অষ্টম তলায় দুটি অফিস স্পেস ও দুটি কার পার্কিংসহ ১১০.৮০ অযুতাংশ জমি, যা সাউদার্ন বিজনেস ইনিশিয়েটিভের পক্ষে ম্যানেজিং পার্টনার জীশান মির্জার নামে রেজিস্ট্রি করা; বান্দরবানে ২৫ একর জমি ও এর ওপর তৈরি স্থাপনা এবং আদাবরের পিসি কালসার হাউজিংয়ে ৬টি ফ্ল্যাট।
এর আগে গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট, সাভার, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের নির্দেশ এসেছে আদালত থেকে।
বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধে আদালতের আদেশের আগেই তিনি সপরিবারে দেশ ছেড়েছেন বলে গণমাধ্যমে তথ্য এসেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সাবেক আইজিপি ও তার স্ত্রী কন্যাদের তলব করা হলেও তারা কেউ হাজির হননি।