পুলিশের লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড আহত কয়েকজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
Published : 07 Apr 2025, 03:56 PM
ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে নিয়ে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা সচিবালয়মুখী মিছিল কাঁদুনে গ্যাস, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে মিছিলটি সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে শিক্ষা ভবন মোড়ে বাধা দেওয়া হয় বলে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “চকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিতে যেতে চাইলে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়। তারা বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। পরে তারা সেখান থেকে চলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
তবে সেখান থেকে কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, দুপুর ১টার দিকে চারিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। এরপরই সড়কেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা, এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর মিছিলটি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করার পাশাপাশি জলকামান, কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা দোয়েল চত্বরের দিকে সরে যান, পরে যান চলাচলও স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, “আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়েছে। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।”
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এক সদস্য বলেছেন, শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশের লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়ে আড়াইটার দিকে সাতজন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন।
আহতরা হলেন- ইসমাইল হোসেন (৫৯), কামরুল ইসলাম (৫০), মাহফুজুর রহমান (৫০), রতন কুমার দেব (৬০), মোতালেব হোসেন (৬৪), কামরুজ্জামান (৪২) ও সারোয়ার (৪৮)।
আহত কামরুজ্জমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকেোক বলেন, “আমার বাম পায়ে সাউন্ড গ্রেনেড লেগে ফেটে গেছে, এখন ঢাকা মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে আছি।”
তিনি বলেন, “আমরা মিছিল নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। কোনো হাঙ্গামা করিনি, ঝামেলা করিনি। পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করেছে, টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ছুড়েছে। গুলি ছাড়া সবকিছুই ব্যবহার করেছে পুলিশ। এতে আমাদের অনেকেই আহত হয়েছে।”
এর আগে রোববার পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভ দেখান চাকরিচ্যুতরা।