সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ কাহিনী, নন-ফিকশন লিখেছেন বাংলা ও ইংরেজিতে।
Published : 15 Sep 2024, 12:58 AM
সাংবাদিক ও লেখক ঊর্মি রহমান কলকাতায় মারা গেছেন।
হাসপাতালে নেওয়ার পথে শনিবার সকালে তিনি মারা যান বলে কলকাতায় পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তারা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ঊর্মি রহমান। সকালে অসুস্থতা বেড়ে গেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী সাগর চৌধুরী ও একমাত্র সন্তান রুপক রহমানকে রেখে গেছেন।
খুলনায় জন্মগ্রহণকারী ঊর্মি রহমানের বন্ধু মানবাধিকারকর্মী সীমা মোসলেম বলেন, প্রায় এক ১০ বছর ধরে কলকাতায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন সাংবাদিক ও লেখক ঊর্মি রহমান।
শৈশব খুলনায় কাটিয়ে স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এরপর সাংবাদিকতা শুরু করেন ঢাকায় দৈনিক সংবাদ পত্রিকা দিয়ে।
১৯৮৫ সালে তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ডের বাংলা সার্ভিসে যোগ দেন। বিবিসির পর তিনি লন্ডনে স্থানীয় সরকারে কাজ করেছেন কিছুদিন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ কাহিনী লেখার পাশাপাশি অনুবাদও করেছেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই বই লিখেছেন।
লন্ডনের প্রকাশক ফ্রান্সিস লিঙ্কন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে তার শিশুতোষ গ্রন্থ ‘বি ইজ ফর বাংলাদেশ’।
কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট ও উইকলি হলিডে পত্রিকায় কাজ করেছেন, সাপ্তাহিক বিচিত্রাতেও খণ্ডকালীন কাজ করেছেন। দৈনিক জনকণ্ঠের যুক্তরাজ্য সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের পত্র-পত্রিকাতেও লেখেন।
বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বইয়ে তার পরিচিতি হিসেবে লেখা হয়েছে, খুলনার মেয়ে ঊর্মি রহমানের শৈশব কেটেছে বন বিভাগের কর্মী বাবার সঙ্গে সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে। লেখাপড়া ঢাকা, খুলনা এবং সবশেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ঢাকা ও লন্ডন থেকে তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘যুদ্ধাপরাধ দেশে দেশে’, ‘ব্রিকলেন : বিলেতের বাঙালিটোলা’, ‘আমাদের সময় নারীমুক্তির প্রশ্নে’, ‘পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন’, বিলেতে বাঙালি : সংগ্রাম ও সাফল্যের কাহিনী, যুদ্ধাপরাধ দেশে দেশে, ‘সমান্তরাল’, ‘অতিথি’, ‘এদেশে বিদেশে’, কালচার-স্মার্ট বাংলাদেশ।